পানির নিচে এক ধরনের বর্শা (স্পিয়ার গান) দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এ সময় তাঁর দিকে একটি সাড়ে চার মিটার লম্বা কুমিরকে তেড়ে আসতে দেখেন। সঙ্গে থাকা স্পিয়ার গান দিয়ে কুমিরটিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনি।
একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে কামড়ে টেনে নিয়ে যেতে থাকে কুমিরটি। তবে হাল ছাড়েননি ওই শিকারি। শেষ পর্যন্ত কুমিরের দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
কুইন্সল্যান্ড অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার প্যারামেডিক ভ্যালেরি নোবেল বলেন, সাড়ে চার মিটার লম্বা কুমিরটিকে যখন তেড়ে আসতে দেখেন, তখন ওই ব্যক্তি পানিতে ছিলেন। তিনি নিজের সঙ্গে থাকা স্পিয়ার গান দিয়ে কুমিরটিকে ঠেকাতে চেয়েও ব্যর্থ হন।
নোবেল আরও বলেন, কুমিরটি তাঁকে তিনটি কামড় দিয়েছিল এবং টেনে পানির নিচের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। তবে ওই ব্যক্তি কুমিরটির দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়ে নিজেকে ছাড়াতে সক্ষম হন। পরে সাঁতরে তীরে উঠে আসেন।
কুইন্সল্যান্ডের পরিবেশ ও বিজ্ঞান দপ্তরের (ডিইএস) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন বন্যপ্রাণী-বিষয়ক কর্মকর্তারা। কুমিরটি এখনো দুর্ঘটনাস্থলে আছে কি না তা দেখতে দপ্তরের কর্মীরা সেখানে যাবেন।
দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘ডিইএস-কে সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছেন। আর্চার পয়েন্ট কুমিরের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। মনে রাখবেন, কুমিরের আবাস্থলে আপনার নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনারই।’