আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আসমা খাতুন। তার লালন-পালনকৃত ষাড়টির ওজন প্রায় ২০ মণ। তিনি আদর করে নাম দিয়েছেন ‘লালু পালোয়ান’। লাল ও কালোর মিশ্রন এই ষাড়টি তিনি ৫ লাখ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন।
জানা যায়, আসমা খাতুন যশোরের শার্শা উপজেলার কন্যাদহ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় বাসিন্দা। তিনি অনলাইনের মাধ্যমে বড় বড় গরু পালন দেখে আগ্রহী হন। তারপর শখ করে গত তিন বছর আগে থেকে নেপাল জাতের ষাঁড়টি লালন-পালন শুরু করেন। মাত্র তিন বছরেই তিনি এই ষাড়টিকে লালু পালোয়ান করে তুলেছেন। ষাড়টিকে একনজর দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ তার বাড়িতে ভীড় করেন।
আসমা খাতুন বলেন, লালুকে অনেক কষ্ট করে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। লালু উচ্চতায় ৫ ফুট আর দৈঘ্য ও প্রস্থ ৬ ফুট। ওজন ৮০০ কেজি। লালুকে কোন প্রকার ইনজেকশন ছাড়া শুধু মাত্র প্রকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করেছি। ৫ লাখ টাকার দাম বলছি। আমরা সাধারন মানুষ। ভাল দাম পেলে বিক্রি করে দিবো।
আসমা খাতুনের স্বামী বাবলু হোসেন বলেন, আমি জমি পরিমাপের কাজ করি। এই গরুটাকে আমরা দুজনে মিলে লালন-পালন করেছি। তবে আমার থেকে বেশি আমার স্ত্রী দেখাশোনা করেছেন। গরুটি ওর খুব আদরের। এইবারের ঈদে ভাল দাম পেলে বিক্রি করে দিবো।
বেনাপোলের গরু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি লালু পালোয়ান নামের ষাড়টি দেখতে গিয়েছিলাম। গরুটি বেশ বড়। তবে সেই অনুযায়ী দাম একটু বেশি। আমি আরো কয়েকটি গরু দেখবো। তারপর গরু কিনবো। কারণ বিক্রি করেতো আমারো লাভ করতে হবে।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।