জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে রাজহাঁস পালনে ভাগ্য বদলেছেন মশিউর রহমান। তিনি শখের বশে মাত্র ১৫টি রাজহাঁস নিয়ে খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ১২৬টি রাজহাঁস রয়েছে। ভিন্ন ধরনের কিছু করার চিন্তা থেকে তার এই খামার তার ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এখন তার এই সফলতা দেখে এলাকার বেকার যুবকরা খামার করায় আগ্রহী হয়েছেন।
জানা যায়, দেশে ব্যাপকভাবে গরু, ছাগল, দেশি জাতের হাঁস ও ব্রয়লার মুরগির পালন হলেও রাজহাঁসের খামার তেমন নেই বললেই চলে। তাই ব্যতিক্রমী চিন্তা থেকে রাজহাঁসের খামার গড়ে তোলেন পাঁচবিবি উপজেলার ডুগুরপাড়া গ্রামের মশিউর রহমান। তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় এই খামার গড়ে তোলেন। তিনি মাত্র ১৫টি হাঁস দিয়ে শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ১২৬টি রাজহাঁস রয়েছে।
মশিউর রহমান বলেন, আমি পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে রাজহাঁস পালনের সিদ্ধান্ত নেই। পরে শখের বশে ১৫টি বাচ্চা কিনে পালন শুরু করি। হাঁসের থাকার জন্য মাচা তৈরী করেছি। খামার করা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আমাকে সহযোগিতা করেছে। রাজহাঁস বছরে ২ বার ডিম দিয়ে থাকে। এই ২ বারে একেকটি হাঁস ১৬-১৮ ডিম দিয়ে থাকে। মাত্র ১৫ মাসের মধ্যেই আমার খামারে রাজহাঁসের সংখ্যা ১২৬ টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাজহাঁসের পাশাপাশি আমার প্রকৃতিক হ্যাচারিও রয়েছে। প্রকৃতিকভাবে বাচ্চা ফোটালে ৯০ ভাগ বাচ্চা উৎপাদন করা সম্ভব। এতে হ্যাচিং ট্রেতে পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা থাকায় ডিমে ’তা’ দেওয়া রাজহাঁস পর্যাপ্ত এনার্জি ও পুষ্টি পায়। ফলে হাঁসের জায়গা থেকে উঠতেই হয় না। একেকটি রাজহাঁস বছরে ২ বার ডিম দেয়। প্রথমবার ৮-১০টি আর পরেরবার ৬-৭টি।
মশিউর আরো বলেন, বর্তমানে আমার খামারে রাজহাঁসের সংখ্যা ১২৬টি। যা মূল্য প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন বলেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় উদ্যোক্তা তৈরিতে কারিগরি সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এতে করে গ্রাম এখন শহরে পরিণত হচ্ছে। স্বাবলম্বী হচ্ছেন গ্রামের বেকার থাকা অধিকাংশ যুবকরা।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।