ঢাকা; ১২/২/২৪ খ্রি.
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর-এর অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ এর ২.২ অংশের আলোকে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অংশীজনের সমন্বয়ে অবহিতকরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার( ১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯. ০০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, মৎস্য ভবন-এর সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর-এর তথ্য কর্মকর্তা( প্রাণিসম্পদ) ডা. মো. এনামুল কবীর-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জনাব মো. আব্দুস সাত্তার, উপপরিচালক,চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য দপ্তর, কুমিল্লা । এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ডা. এ বি এম আব্দুর রউফ, র্উধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া সভায় কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরের বিভিন্ন পর্যায়ের চাষি ও খামারীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের সার্বিক কার্যক্রম এবং অভিযোগ প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন তথ্য দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা (মৎস্য) জনাব মাহবুবা খানম। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন, জনাব মো. সামছুল আলম, গণযোগাযোগ কর্মকর্তা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর।
সভায় প্রেজেন্টেশন শেষে উপস্থিত সকল অংশীজনের জন্য উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তরপর্বের সুযোগ প্রদান করা হয়। এতে এফআর এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. আবু নাজিব বলেন, সীমান্ত দিয়ে এখনো গরু আসে। এতে আমাদের দেশে ক্ষদ্র খামারী নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এ প্রচলন বন্ধ না হলে এ শিল্প ধংস হয়ে যাবে। এছাড়া তিনি গবাদিপশুর খাদ্যমূল্য নিয়ে অসুন্তুুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, বাজারে যে, যেভাবে পারছে গবাদিপশুর খাদ্যমূল্য বাড়াচ্ছে। এ অরাজকতা দেখার যেন কেউ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট খামারীর প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন ডা. মো. এনামুল কবীর, তথ্য কর্মকর্তা( প্রাণিসম্পদ) ও কুমিল্লা সদর উপজেলা হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মাহে আলম।
সভায় কুমিল্লা জেলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব মো. বেলাল হোসেন বলেন, মেধা সম্পন্ন জাতি গঠনে পুষ্টির কোন বিকল্প নেই। আর এ পুষ্টির সিংহভাগ যোগান দিচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মাছ উৎপাদনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা জেলা। তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য এখন শুধু উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, মানসম্মত নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদন করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এছাড়া তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে প্রতিটি খামারকে ইন্টারনেট অব থিং (আইওটি)-এর আওতায় আনা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ডা. এ বি এম আব্দুর রউফ বলেন, তথ্য দপ্তর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরের প্রচার-প্রসারে যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের কাজ আরো বৃদ্ধি করা গেলে প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন ও গ্রহণের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যাপারে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, যে কেউ প্রাণিসম্পদ সম্পর্কে আমাদের এখান থেকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।
সভায় সিনিয়র সায়েন্টেফিক অফিসার ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলা- উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদের উৎপাদনকে বাড়ানোর জন্য আমরা ভ্যাকসিন প্রদান করছি।
সভায় সভাপতি ডা. এনামুল কবীর অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা নিয়ে বলেন, যে কেউ অনলাইনে সিটিজেন চার্টারভুক্ত যে কোন সেবার বিপরীতে আবেদন করতে পারবে। এমনকি বেনামেও কোন প্রতিষ্ঠানের যে কোন ব্যক্তির সম্পর্কে অভিযোগ করতে পারবে। এর জন্য প্রথমে একজন নাগরিককে অনলাইনে অভিযোগ দাখিল সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে।