ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ফুলবাড়িয়া নামক গ্রামের মনোয়ার হোসেন ব্যবসার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে ২০১৮ সালে ০৪ টি গরু নিয়ে মনোয়ার এগ্রো নামে খামার শরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ১০ টি ষাঁড় গরু ৫টি গাভি ও ৫টি বকনা গরু আছে। মনোয়ার বলেন তার খামার থেকে কুরবানির সময় ৫ টি গরু বিক্রি করেন। তিনি আরো বলেন গরু বিক্রি করে তার লাভ হয় ২,৫০,০০০ টাকা।
খাবার ব্যবস্থপনা সম্পর্কে মনোয়ার হোসেন কে বলা হলে তিনি বলেন ঘাস চাষ করেন এবং ভূট্রা চাষ করে সাইলেজ তৈরি করেন। ঘাস খাওয়ার পাশাপাশি তিনি দানাদার খাদ্য হিসাবে গমের ভূষি, ফিড , ভূট্রার গুড়া , চালের গুড়া, খৈল ,নালীগুড় ,খাওয়ানো হয়।
খামার বাসস্থান সম্পর্কে মনোয়ার বলেন প্রতি ৭ দিন পর পর খামার পরিষ্কার করা হয়। বর্তমানে মনোয়ার সহ ৩ জন কর্মচারী নিয়মিত গবাদি পশুকে খাবার প্রদান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ সকল কাজ করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ টি গাভি হতে ১২৫ লিটার দুধ তিনি তার বাসা থেকে বিক্রি করে থাকেন। প্রতি কেজি দুধ তিনি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেন। ২ জন কর্মচারীর বেতন বাবদ তার ৩০,০০০ টাকা প্রদান করতে হয়। বাৎসরিক খামারের ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে খাবার ,মেডিসিন ,ও কর্মচারীর বেতন বাবদ ব্যয় হয় ৬,০০,০০০ টাকা এবং বাৎসরিক আয় বাবদ তার খামার থেকে আসে ৩,০০,০০০ টাকা।
প্রাণিসম্পদ বিষয়ক প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলা যুবউন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ৩ মাসের প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন। মনোয়ার আরো জানান খামারে গবাদি পশুর রোগ হলে উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং প্রাণিসম্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগিতা করেন।
পরিশেষে ,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর ,আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকার পক্ষ থেকে গাভী পালন ,ছাগল পালন ,সবুজ ঘাস সংরক্ষন প্রযুক্তি সম্প্রসারন ,গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরির উপকরন ও খাওয়ানোর নিয়মাবলী উন্নত জাতের ঘাস ছাষ বিষয়ক লিফলেট ও ফোল্ডার বিনামূলে প্রদান করা হয় এবং পরামর্শ প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারী
মো. খাদেমুল ইসলাম
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর ,
আঞ্চলিক অফিস , ঢাকা