গরু পালনে স্বাবলম্বী কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার শাকতলার জসিম উদ্দিন। তিনি দেশি খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি গরুর বেশি যত্ন নেওয়ার কারণে স্বাবলম্বী হতে পেরেছেন। গো- খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তিনি দেশি খাবার খাইয়ে গরু পালন করছেন।
জসিম উদ্দিন বলেন আমি বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট বাছুর ও কম দামে গরু কিনে নিয়ে আসি। তারপর পালন করে মোটাতাজাকরণ করে ঈদে বিক্রি করি, আর গাভী গরু গুলোকে পালন করে তা থেকে বাছুর ও দুধ পাই।
গরুর দৈনিক খাদ্য প্রদানে ক্ষেত্রে তিনি বলেন, গরুর মোটাতাজাকরণে দ্রুত লাভবান হতে গিয়ে অনেকেই ভুল করে বসেন। অনেক খামারি ভাবেন গরুকে বেশি বেশি খাদ্য প্রদান করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং দ্রুত গরু মোটাতাজা হবে। আসলে ব্যাপারটি তেমন নয়। প্রতিটি প্রাণীরই খাদ্য খাওয়ার একটি নিদিষ্ট মাপকাঠি থাকে। যেমন মানুষ প্রতিদিন তিন বেলা খেয়ে থাকেন এবং পরিমিত হারে খেয়ে থাকেন, তেমনি গবাদিপশুকে ও পরিমিত খাদ্য প্রদান করতে হবে। তিনি সবুজ ঘাস, খড়, দানাদার খাদ্য, লবণ ও পরিমিত পরিমাণ পানি খাইয়ে থাকেন।
বর্তমানে জসিম উদ্দিনের খামারে ৩০টি গরু রয়েছে। গরু গুলোকে দেখাশুনার জন্য তিন (০৩)জন লোক নিয়োজিত আছেন। প্রাণিসম্পদ বিষয়ক প্রশিক্ষণ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং খামারে গবাদি পশুর রোগ হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেণ সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন সহযোগিতা পান।
প্রতিবেদনকারী: সুরাইয়া আক্তার
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা ।