০৩/০৩/২০২৪ খ্রি.
জাকির হোসেন পেশায় একজন ব্যবসায়ি। ব্যবসার পাশাপাশি শরু করেন গবাদিপশুর খামার। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ২ টি বকনা ও ২টি ষাঁড় গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ১০ টি গরু আছে। জাকির বলেন, কুরবানির সময় তার খামার থেকে ২ টি ষাঁড় গরু বিক্রি করেন যা থেকে তার ১ লাখ টাকা লাভ হয়।
খাবার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জাকির বলেন উন্নত মানের ঘাস চাষ করেন এবং ভুট্রা ঘাষ চাষ করে সাইলেজ তৈরী করেন। ঘাস খাওয়ার পাশাপাশি তিনি দানাদার খাদ্য হিসাবে গমের ভুষি , ফিড ,ভুট্রার গুড়া ,খৈল খাওয়ানো হয়।
খামার বাসস্থান সম্পর্কে জাকির বলেন, প্রতিদিন পরিষ্কারের পাশাপাশি ্প্রতি ৭ দিন অন্তর পরিষ্কার পানি ও জীবানুনাশক দিয়ে ভালো ভাবে সমগ্র খামার পরিষ্কার করা হয় । বর্তমানে জাকির সহ আরো ১ জন কর্মচারী নিয়মিত গবাদি পশুকে খাবার দেওয়া ,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা সহ সকল কাজ করে থাকেন। খামারের বাৎসরিক ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে জাকির বলেন ১ জন কর্মচারীর বেতন ১৩,০০০ টাকা প্রতিমাসে প্রদান করতে হয়। খাবার , মেডিসিন ,বাবদ ব্যয় হয় ১০,০০০ টাকা । তিনি বলেন খামার থেকে তার বাৎসরিক ব্যয় হয় ২,৭৬,০০০ টাকা এবং বাৎসরিক আয় ১,৪০,০০০ টাকা।
প্রাণিসম্পদ বিষয়ক কোন প্রশিক্ষন করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে জাকির বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি আরো জানান গবাদি পশুর রোগ দেখা দিলে উপজেলা প্রাণিস্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং প্রাণিস্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগিতা করেন।
সবশেষে ,মৎস্য ও প্রাণিসম্প তথ্য দপ্তর , আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকা থেকে জাকির হোসেন কে গরু পালনের সঠিক পরামর্শসহ গাভী পালন ,সবুজ ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ,গবাদি পশুর সুষম খাদ্য তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ানোর নিয়মাবলী ,উন্নত জাতের ঘাস চাষ বিষয়ক লিফলেট ও ফোল্ডার প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারী
(মো. খাদেমুল ইসলাম )
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্প তথ্য দপ্তর ,
আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকা ।