ঢাকা,১৬/০৩/২৪;
১৯৮৩-৮৪ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৭৪ ভাগ । বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৪৭ ভাগ। এক হাজার টাকা কেজি দরে ইলিশ বিক্রি করা হলে ইলিশ থেকে প্রতিবছর রাজস্ব আদায় হবে ৫ হাজার ৮শ ৯০ কোটি টাকা। বাংলাদেশে মোট মাছ উৎপাদনের শতকরা ১২.২ ভাগই ইলিশ। ইলিশের এই উৎপাদন সম্ভব হয়েছে সরকারের নানা কার্যক্রম গ্রহণের ফলে। আজ ১৬ মার্চ ২০২৪ (শনিবার) সকাল ১০.০০ ঘটিকায় রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় গবেষকরা এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ুম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় বলেছিলেন, মাছ হবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। মাছ উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর জন্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া এই সাফল্যজনক উৎপাদন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও তিনি জেলেদেরকে ৬.৫ সে.মি. এর কম ফাসের জাল ব্যবহার না করার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ সকল ধরণের অবৈধ জাল উৎসমূলে ধ্বংস করার জন্য প্রশাসনকে আহ্বান জানান।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট একটি ভাতৃপ্রতিম প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সাথে মৎস্য অধিদপ্তর অঙ্গাঅঙ্গীভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশির দশকের পর থেকে ইলিশের উৎপাদন হ্রাস পেতে শুরু করেছিল। বিগত ১৫ বছর ধরে এই ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে সাফল্যজনক অবস্থানে দাড়িয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে সমন্বিতভাবে কাজ করার ফলে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল বলেন, ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। অথচ এই ইলিশের উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারের অনেক বিনিয়োগ হচ্ছে।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যের পরে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, জাটকা সংরক্ষণ ও গবেষণা অগ্রগতি নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আশরাফুল আলম। প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তেব্যে ড. মো. জুলফিকার আলী বলেন, সরকার, মৎস্য অধিদপ্তর এবং বিএফআরআইসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের ফলে ইলিশের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মো. সামছুল আলম
গণযোগাযোগ কর্মকর্তা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
০১৭৪৬ ৭৪০২০