এছাড়া রয়েছে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যবহৃত ওষুধ, টিকা, প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ সরঞ্জাম, মোড়কসহ পণ্য বাজারজাতকরণ প্রযুক্তির স্টলও।
সেখানে কথা হয় খামারি মেহেদী হাসানের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের খামারে দেড়শোর বেশি গরু রয়েছে। এরমধ্যে ১০০ গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সেগুলো থেকে বেছে ১৩টি গরু প্রদর্শনের জন্য এনেছি।
সাদিক এগ্রোও এমন বেশকিছু গরু এনেছে মেলায়। সিমেন উৎপাদনে ব্যবহৃত একটি গরু এনেছে, যার দাম কোটি টাকা।
মেলায় কয়েক ডজন জাতের পাখি নিয়ে হাজির হয়েছে বার্ড ল্যান্ড। সেখানে মোস্তাক আহম্মেদ নামের একজন জানান, শখ থেকে পাখি পোষা শুরু। এখন তার খামার বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকার পাখি বিক্রি করেন তিনি।
অন্যদিকে প্রতি বছরের মতো এবারও মেলার মূল আকর্ষণ গরুর র্যাম্প শো। এতে ১৯টি ক্যাটেগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।
অন্যদিকে মেলায় রয়েছে ডেইরি ও পোল্ট্রি খাতের বিভিন্ন খাবার। সেখানে সিপি, কাজী চিকেন, মিল্কভিটা, প্রাণ ডেইরিসহ অন্যান্যরা তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে।
১৮ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ মেলা। যা আয়োজন করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করেন।
এছাড়া মেলায় ৭টি প্যাভিলিয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, এলআরআই, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার অংশগ্রহণ করেছে।
গুণগত মান, জাত, স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, আকার, অবদান, নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, বাজারজাতকরণ, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক প্রভাব, সার্বিক পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৯৩টি পুরষ্কার, ক্রেস্ট এবং অংশগ্রহণকারীকে সনদ দেওয়া হবে।