পশুপালন, মাংস উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যেসব পশু পালন হয়, এগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে লালনপালন করতে হবে। উৎপাদন প্রক্রিয়াকরণে আরও যত্নবান হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের হালাল মাংস পৃথিবীর অনেক দেশ নিতে চায়। সে সুযোগটা আমাদের নিতে হবে। সেজন্য লালনপালন, জবাই এবং প্রক্রিয়াকরণ নিয়ম অনুযায়ী করছি কি না, দেখতে হবে। যারা নিতে চায়, তাদের কতগুলো নিয়ম আছে, সেটা মানলে তারা নেবে। অনেক দেশ থেকে অনুরোধও পাই। অনেক জায়গায় আমাদের পশু জবাই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হয় না। জবাইয়ের অস্ত্র-চুরি যাতে মরিচা ধরা না হয়। জবাই ও মাংস কাটায় যদি আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারি, তাহলে ভালো হয়। বিশেষ করে কোরবানির সময় রাস্তাঘাটে যত্রতত্র কোরবানি করে পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। একটা সমন্বয় করা দরকার। পশুর মাংসের বাইরে চামড়া, রক্ত, বর্জ্যসহ অনেক কিছুই কাজে লাগে। এগুলো সংরক্ষণ ও কাজে লাগাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু দানাদার খাদ্য নয়, পশু-মাছসহ সামগ্রিক কৃষি উৎপাদনে আমাদের গবেষকরা অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছেন। তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। মাংস থেকে মাছ ও সবজি অধিক পুষ্টিকর। মিঠাপানির মাছ কিন্তু আমাদের গবেষকরা এখন উদ্ভাবন করে উৎপাদন করছেন। অনেক হারিয়ে যাওয়া মাছও আমরা এখন পাচ্ছি। মাছে-ভাতে বাঙালি আমরা। আমরা সেদিকেই দৃষ্টি দিয়েছি। এখন মাছ-ভাতের অভাব নেই। কিন্তু এখন মানুষের চাহিদা মাংসে। তারা মাংস খাবে। নানা কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে এত ঝামেলা! এজন্য আমি বললাম, পেঁয়াজ আমরা উৎপাদন করতে পারবো না কেন? এখন ৪০ ভাগ পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। আরও গবেষণা চলছে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। এ থেকে মানুষের জানমাল রক্ষায় বঙ্গবন্ধু যেমন পদক্ষেপ নিয়েছেন, একদিকে সাইক্লোন সেন্টার করা, অন্যদিকে মুজিবকেল্লা করেছেন। কারণ মানুষ তাদের গৃহপালিত প্রাণী রেখে আসতে চায় না। মুজিবকেল্লা নামটিও স্থানীয় মানুষদের দেওয়া। এতে মানুষের পশুপাখিও বেঁচে যায়। বাংলাদেশে গবাদিপশুর কৃত্রিম প্রজননের উদ্যোগ বঙ্গবন্ধু নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বক্তব্য দেন। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।