আটঘরিয়া উপজেলায় মুরগির খামারে দেখা দেয়া অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্ধশতাধিক খামারে কয়েক হাজার মুরগি মারা গিয়েছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন খামারিরা।
খামারিদের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কোনো খামারেই খোঁজখবর নেন না। খামারিরা কোম্পানির যে চিকিৎসকরা থাকেন, তারা যে ব্যবস্থাপত্র দেন, সে ওষুধের কোনো কার্যকারিতা নেই।
জানা গেছে, বেকারত্ব ঘোচাতে আয়ের মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মুরগির খামার। অল্প খরচ আর কম সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন এই ব্যবসায়। দেশের অন্যান্য জেলার মতো পাবনার আটঘরিয়াতেও গড়ে উঠেছে অসংখ্য মুরগির খামার। কিন্তু হঠাৎই আটঘরিয়া পৌর এলাকাসহ উপজেলার দেবোত্তর, চাঁদভা ও মাজপাড়া ইউনিয়নের খামারগুলোতে দেখা দিয়েছে অজ্ঞাত রোগ। এই উপজেলায় এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অর্ধশতাধিক খামারে কয়েক হাজার মুরগি। প্রথমে ঝিমুনি এরপর খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার দুই-তিন দিনের মধ্যে মারা যাচ্ছে আক্রান্ত মুরগি।
আটঘরিয়া পৌর এলাকার কিরানীর ঢালু মহল্লার মো. গোলজার হোসেনে জানান, তিনি চারটি সেটে মুরগির খামার গড়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে তিনটি সেটের প্রায় ৪ হাজার মুরগি মারা গেছে।
দেবোত্তর ইউনিয়নের শ্রীকান্তপুর গ্রামের ফয়সাল হোসেন জানান, আমার খামারে ৪২০ মুরগি ছিল। অজ্ঞাত রোগে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০ মুরগি মারা গেছে। কোনো উপায় না পেয়ে ডিম দেওয়া মুরগি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছি।
আটঘরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিছুর রহমান জানান, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই দেখা দিয়েছে এই রোগ।
তিনি আরও জানান, মারা যাচ্ছে সাধারণত কিছু ভাইরাসজনিত রোগে। যেমন—রাণীক্ষেত রোগ, গামবোরো এই রোগগুলো সারা বছরই হয়। ঋতু পরিবর্তনের সময় কক্সিডিওসিস বেশি হয়। এই রোগগুলোতেই বেশি মারা যাচ্ছে। খামারিদের উচিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা ও পরামর্শ গ্রহণ করা। তারা যদি আমাদের অফিসে যোগাযোগ করে তাহলে ময়নাতদন্ত করে বা ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠিয়ে রোগ নির্ণয় করে আমরা ব্যবস্থা নিবেন বলেও তিনি জানান।