দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিলে প্রজনন মৌসুম শুরু হয়। ওই সময়টাতে মা মাছ ধরতে অবৈধভাবে জাল বসায় চোরা শিকারিরা।
এ ছাড়া নিয়ম না মেনে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল ও বালু উত্তোলনের কারণে প্রাকৃতিকভাবে মাছের প্রজনন বেশ ক্ষতি হয়। এসব বন্ধে, নৌ থানার আওতায় হাটহাজারী উপজেলার রামদাস মুন্সিরহাটে বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প।
ডলফিন হত্যা রক্ষায়, তাই নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে নৌ-পুলিশ। নদীর সীমানায় স্থাপন করা হয়েছে ৮টি উচ্চক্ষমতার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। যা দিয়ে হালদার প্রায়ই সাত কিলোমিটারেরও বেশি জায়গায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। মাছের অভয়ারণ্য রক্ষায়, দূষণ রোধ, বালু উত্তোলন এবং চোরা শিকারিদের আটকাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পুলিশ।
হালদা নৌ-পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মো. মাহবুবুল আলম জাজান, সিসি ক্যামেরা বসানোর মূল উদ্দেশ্য হলো হালদা নদীতে যাতে কেউ অবৈধভাবে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার চালিয়ে বালু উত্তোলন করতে না পারে, কোনো মাছ শিকার করতে না পারে।
হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু ডিম ছাড়ার আগের মাস নয়, পুরোটা বছর যেন নিরাপদ থাকে। হালদা দিয়েই আমাদের দেশে নদীতে প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে সরকার। এই ব্যবস্থা সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর। তাই এদিকে গুরুত্ব দিলে নদী রক্ষা সহজ হবে বলে তিনি জানান।
এগ্রিভিউ ২৪.কম