শহর অঞ্চলে প্রচলিত না হলেও এখনো গ্রামগঞ্জে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন। ছাগল পালনকারীরা নিজেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অবদান রাখছেন দেশের অর্থনীতিতে। তারই ধারাবাহিকতায় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন পাবনার নারী খামারি ফরিদা খাতুন। ছাগল পালনেই তার সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসে। তার দেখাদেখি অনেকেই ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
জানা যায়, নারী খামারি ফরিদা খাতুন পাবনা সদর গাছপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সংসারের অভাব দূর করতে ছাগল পালন শুরু করেন। তিনি বিগত ২০ যাবত তিনি ছাগল পালন করে আসছেন। ছাগল পালন করেই তিনি সংসারের হাল ধরেছেন। ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের খামার করে তিনি নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। তাকে অনুসরণ করে অনেকেই ছাগল পালনে উৎসাহি হয়েছেন।
নারী খামারি ফরিদা খাতুন বলেন, আমার অভাবের সংসার ছিল। স্বামী একা সব কিছু সামলে উঠতে পারতো না। তাই আমি ছাগল পালন শুরু করি। আমি প্রায় ২০ বছর যাবত ছাগল পালন করছি। বর্তমানে আমার খামারে ৮-১০টি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একটি ছাগল বছরে দুইবার বাচ্চা দেয়। ছাগলগুলো একাধিক বাচ্চা দিয়ে থাকে। বাচ্চা বড় করে এককেটি ১০-১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারি। এতে বছরে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি করতে পারি। আশা করছি আমার খামারটি আরো বড় আকারে গড়ে তুলতে পারবো।
পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আল মামুন হোসেন মন্ডল বলেন, ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রতি ইউনিয়নে দুইজন করে মোট ১৪৮ জন সুফলভোগীকে বিনামূলো ছাগলের প্লাস্টিকের আধুনিক মাঁচা ঘর নির্মাণ, বিনামূল্যে ভিটামিন, মিনারেল, ছাগলের বাচ্চার দুধ দেওয়া হয়েছে।ব্লাক বেঙ্গল ছাগল প্রতিবছর দুইবার বাচ্চা দেয় এবং প্রতিবার দুই থেকে তিনটি বাচ্চা দিয়ে থাকে। এর মাংস অনেক সুস্বাদু এবং এই ছাগলের রোগ বালাই অনেক কম হয়। ব্লাক বেঙ্গল ছাগল দারিদ্র বিমোচন, নারীর উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।