চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর বাইশপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা আবু নাঈম তানিন। তিনি ২০১৮ সালে মৎস্য ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করেন। মৎস্য বিষয়ে পড়াশোনা করলেও তিনি চাকুরির প্রতি আগ্রহ না বাড়িয়ে খামারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। নিজ উদ্যোগে ২০১৯ সাল থেকে তিনি ব্রয়লার মুরগির খামার গড়ার উদ্যোগ নেন এবং শুরুতেই ১৫০০ ব্রয়লার মুরগি নিয়ে গড়ে ওঠে তাহার খামার। মুরগির খামারের পাশাপাশি তিনি ছাগল পালন শুরু করেন। বর্তমানে তাহার খামারে ১৪ টি দেশী ও ক্রস ব্রিড জাতের ছাগল রয়েছে। পর পর খামারে সফলতা পাওয়ায় তিনি মুরগি, ছাগল পালনের পাশাপাশি সাইলেজ তৈরী করা শুরু করেন। শুরুতে তিনি ঘাস কিনে এনে সাইলেজ তৈরী করতেন। কিন্তু বর্তমানে নিজস্ব ২ একর জমিতে তিনি ভূট্টা ঘাস চাষ শুরু করেন এবং নিজে সাইলেজ তৈরী করে তা বিভিন্ন খামারে বিক্রি করেন। তাহার এই খামারে সহযোগী হিসেবে দিনচুক্তি ৮ জন লোক কর্মরত আছে। তিনি বলেন বেকারত্ব দূরীকরণের পাশাপাশি ৮ জন লোকের কর্মসংস্থান তৈরী, আর্থিক ভাবে সাবলীল হয়েছেন তিনি এই খামার স্থাপন করে। তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি চাইলেও এই কাজগুলো করা যায়। বেকারত্ব কারণে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠতে এই উদ্যোগ গুলো আপনারাও নিতে পারেন। তাহার এই সফলতার জন্য তিনি “প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ২০২৪” প্রদর্শনীতে পুরুষ্কার প্রাপ্ত হন। তাছাড়া খামার পরিচালনা করতে যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে তিনি উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করেন এবং সেখান থেকে তিনি সেবা পান। আপনারা চাইলেও বেকারত্ব কে ছাড়িয়ে আবু নাঈম তানিন এর মতো উদ্যোক্তা হয়ে ওঠতে পারেন।
প্রচারে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা।