৫৪
অক্সিজেন যেমন পৃথিবীতে স্থলজ জীবনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জলজ জীবের জন্যও প্রয়োজনীয়। মাছচাষের জলাশয়ে দ্রবীভূত অক্সিজেন বৃদ্ধির জন্য এয়ারেটর পরিচালনা একটি অন্যতম উপায়।
বাতাসের ঘনত্বের চেয়ে পানির ঘনত্ব ৭০০ গুণ বেশি। বাতাসের তুলনায় পানি ৩০ গুণ কম অক্সিজেন ধারণ করে।
বায়ুমন্ডলে ২০.৯৫% অক্সিজেন থাকে অর্থাৎ বায়ুতে ২ লাখ মিলিগ্রাম /লিটার অক্সিজেন থাকে।
অপর দিকে পানিতে সাধারণত ৫-১৪ মিলিগ্রাম /লিটার দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকে।
স্থলজ পরিবেশে তুলনামূলক অক্সিজেন বেশি থাকার পরও অনেক সময় স্থলজ প্রাণীদের বাতাস থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেতে সমস্যা হয়।
পক্ষান্তরে অক্সিজেন কম থাকায় জলজ পরিবেশ থেকে মাছের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহণে অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি শক্তি ব্যয় করতে হয়।
আর তাই পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতায় শ্বাস-প্রশ্বাসে মাছের আরও অধিক শক্তি ব্যয় করতে হয়। অধিক শক্তি ব্যয় করতে হলে মাছের বৃদ্ধি ও উৎপাদন কমে যায়।
এজন্যই পানিতে অক্সিজেন বৃদ্ধি করার জন্য মাছচাষের জলাশয়ে এয়ারেটর চালানোর প্রয়োজন হয়।
এয়ারেটর চালানোর উপকারীতাঃ
পুকুরে এয়ারেটরের মাধ্যমে বায়ুচলাচল করে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো একটি সহজ ও কার্যকর প্রক্রিয়া।
মাছের খাবি খাওয়া ও ভেসে উঠা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পুষ্টি ও অন্যান্য উপাদানসমূহের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
মাছের বিপাকীয় কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়।
জলাশয়ে পানি বিশুদ্ধকরণে সহায়তা করে।
মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এয়ারেটর চালানোর ফলে মানুষের অভক্ষণযোগ্য (Nonedible) বিভিন্ন গ্যাসীয়, রাসায়নিক ও জৈবপদার্থ মানুষের ভক্ষণযোগ্য (Edible) পুষ্টি খাদ্য মাছে পরিণত হয়।
এয়ারেটর একটি জলাশয়ের নান্দনিক সৌন্দর্যকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে পারে এবং তৎসঙ্গে জলাশয়ের গভীরে সংঘটিত প্রাকৃতিক ক্রিয়া -বিক্রিয়া ও ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারে।
এয়ারেটরের মাধ্যমে বায়ু চলাচল করিয়ে জলাশয়ে সংগঠিত তাপীয়-স্তরীবিন্যাসকে ধ্বংস করে জলাশয়কে অক্সিজেন স্বল্পতা থেকে রক্ষা করা যায়।
এয়ারেটরের মাধ্যমে বায়ুচলাচলের মূল উদ্দেশ্য হল সমগ্র জলাশয়ের কলামে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি ও স্থিতিশীল করা।
এয়ারেশন সিস্টেমগুলি সাধারণত উষ্ণ পানির মাছের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয় কারণ উষ্ণ পানিতে অক্সিজেন কম থাকে এবং তাদের পর্যাপ্ত দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা প্রয়োজন। তাছাড়া তলদেশের অক্সিজেনবিহীন আবাসস্থলে বেঁচে থাকার জন্য উষ্ণ অঞ্চলের মাছ সংগ্রাম করে। এয়ারেটর চালানো হলে পানির তাপমাত্রা কমে আসে এবং পানিতে অক্সিজেন মাত্রা বেড়ে যায় এবং সমস্যার সমাধান হয়।
ঠান্ডা জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন বেশি থাকে এবং বায়ুচলাচলের প্রক্রিয়া শীতল অক্সিজেন-সমৃদ্ধ পানিকে নিচের উষ্ণ পানির সঙ্গে মিশ্রিত করে।
এয়ারেটরের মাধ্যমে পানি আলোড়িত করে এবং দ্রবীভূত অক্সিজেন যোগ করে মাছের বাসস্থান উন্নত করা, পানির গুণমান উন্নত করা, শেওলা কমিয়ে ফেলা এবং অতিরিক্ত ফসফরাস অপসারণের মাধ্যমে জলজ পরিবেশ উন্নত করা যায়।
বায়ুচলাচল অবাঞ্ছিত ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, মশার লার্ভি উৎপন্নে বাধা দেয়।
বায়ুচলাচল পুকুর ও মাছ থেকে দুর্গন্ধ দূর করতে পারে।
এয়ারেটর চালানো হলে জলাশয়ের তলদেশের কাদার পরিমাণ কমে যায়।
বায়ু চলাচলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল পুকুরের অতিরিক্ত ফসফরাস (P) ঘনত্ব হ্রাস করা।
শেত্তলা উৎপন্নে ফসফরাস প্রয়োজন এবং ফসফরাস একবার পুকুরের বাস্তুতন্ত্রে প্রবেশ করলে তা অপসারণ করা খুব কঠিন।
বায়ুচলাচল একটি অক্সিডেশন প্রতিক্রিয়া যা ব্যবহার করলে ফসফরাস প্রাকৃতিকভাবে লোহার সাথে আবদ্ধ হয়। একবার লোহার সাথে আবদ্ধ হয়ে গেলে, জলাশয়ের অক্সিজেনের মাত্রা কমে না আসা পর্যন্ত ফসফরাসের এই নতুন রূপটি পলি বা কাদার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং ফসফরাস উদ্ভিদ এবং শৈবালের নাগালের বাইরে থাকে। ফলে সহসাই জলাশয়ে ফাইটোপ্লাংক্টন ব্লুম হতে পারে না।
এয়ারেশন ব্যবহারের মাধ্যমে পানির গুণমানও ব্যাপকভাবে উন্নত হয়। অক্সিজেনবিহীন অঞ্চল বা অ্যানোক্সিক অবস্থায় জলাশয়ে নীচের পলি বিভিন্ন গ্যাস এবং ভারীধাতুসহ বিভিন্ন ধাতু নির্গত করে যা জলের গুণমানে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এয়ারেটর চালানো হলে এসব সমস্যার সমাধান হয়।
বায়ুচলাচল পিএইচ, ক্ষারত্ব স্থিতিশীল করে, অ্যামোনিয়া, নাইট্রাইট, হাইড্রোজেন সালফাইড হ্রাস করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ করে পানির গুণমানকে উন্নত করে।
ফলে এয়ারেটর পুকুর বা জলাশয়ের চিকিৎসার খরচও অনেক কমিয়ে দেয়।
বায়ুচলাচলের মাধ্যমে ফাইটোপ্লাংক্টনের স্পোরগুলি গভীর হ্রদ, পুকুর এবং জলাশয়ের তলদেশ এলাকায় চলে যায়। ফলে ফাইটোপ্লাংক্টন স্পোরগুলি সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসতে পারে না বিধায় জলাশয়ে ফাইটোপ্লাংক্টনের অতিরিক্ত পরিমাণ এবং বৃদ্ধি হ্রাস পায়।
এয়ারেটর চালানোর ফলে সৃষ্ট উচ্চতর দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রায় ক্ষতিকারক নীল-সবুজ শেত্তলাগুলির পরিবর্তে কম ক্ষতিকারক সবুজ শেওলা উৎপন্ন হয় ।
উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। নিবিড় ও অতিনিবিড় চাষে ব্যাপক অর্থাৎ সনাতন চাষ পদ্ধতির চেয়ে ক্ষেত্র বিশেষে ২৫/৩০ গুণ বেশি উৎপাদন পাওয়া যায়।
এয়ারেটর মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করে জিডিপিতে তথা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এয়ারেটর মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের মাঝে অধিক প্রোটিন সরবরাহে পরোক্ষভাবে ভুমিকা রাখে।
FCR কমে বিধায় খাদ্য বাবদ ব্যয় কমে যায়
সার ও খাদ্যের পুষ্টি উপাদানের প্রতিক্রিয়ায় পুকুর বা জলাশয়ের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। তবে এই ইনপুটগুলি জীবের অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ায় এবং মাছচাষের জলাশয়ে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
মাছচাষের জলাশয়ে খুব ভোরে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয়, তাছাড়া ফাইটোপ্লাংক্টনের হঠাৎ মৃত্যু পরবর্তী সময়ে এবং মেঘলা আবহাওয়ায় জলাশয়ে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয়।
পানিতে ধারাবাহিকভাবে অক্সিজেন স্বল্পতা বিরাজ করলে মাছের ক্ষুধা কমে যায়, রোগের প্রতি সংবেদনশীল হয়, খাদ্যের এফসিআর বেড়ে যায়, মৃত্যুহার বেড়ে যায় এবং উৎপাদন কমে যায়।
সুতরাং অক্সিজেন স্বল্পতা দূর করতে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে মাছচাষের জলাশয়ে যান্ত্রিক এয়ারেশন প্রয়োজন হয়। সর্বোপরি উৎপাদন বাড়াতে জলাশয়ে এয়ারেটর চালানো প্রয়োজন।
পানির পিএইচ, বায়ুর চাপ, তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, পানির আলোড়ন (turbulence), পানির অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্তর এবং অন্যান্য অনেক কারণের ওপর নির্ভর করে কি পরিমাণ অক্সিজেন বাতাস থেকে পানিতে দ্রবীভূত হয়।
এজন্য এয়ারেটর যুক্তিযুক্তভাবে বা পর্যায়ক্রমিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। এয়ারেটর পরিচালনায় রসায়ন (Chemistry) রয়েছে। অনুমান নির্ভর নয়, বিজ্ঞান নির্ভর মাছচাষ জরুরি।
এয়ারেটর শুধুমাত্র সংকটকাল বা দুর্যোগ মোকাবেলায় নয় বরং তার চেয়েও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এয়ারেটর অধিক জরুরী।
কখন এবং কতক্ষণ এয়ারেটর চালাবেন?
জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে বিধায় খাদ্য ও সার দিয়ে মাছচাষ করা হয় এমন জলাশয়ে অর্থাৎ আধা-নিবিড় ও নিবিড় মাছচাষের জলাশয়ে দিনের বেলা রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় দুপুরে প্রতি একর জলাশয়ের জন্য ২ অশ্ব ক্ষমতাসম্পন্ন ১টি এয়ারেটর স্বল্প সময় অর্থাৎ প্রতিদিন আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা চালানো প্রয়োজন।
প্রতিদিন রাত ১০ টা থেকে দীর্ঘ সময় নিয়ে অথবা প্রয়োজন অনুযায়ী সকল পুকুরে এয়ারেটর চালানো প্রয়োজন ।
এভাবে দিনে ও রাতে এয়ারেটর নিয়মিত চালানো হলে পরবর্তীতে ভোরে বা নিম্নচাপের সময় বা মেঘলা আবহাওয়ায় মাছ ও চিংড়ি ভেসে উঠবে না অথবা মারা যাবে না বরং উৎপাদন আরও বেড়ে যাবে।
অতিনিবিড় মাছচাষের জলাশয় যেমনঃ- RAS, Biofloc, IPRS পদ্ধতির মাছচাষের জলাশয়ে সার্বক্ষণিক এয়েরেটর চালাতে হবে।
মেঘাচ্ছন্ন দিনে এয়ারেটর দিনে না চালিয়ে পরের দিন ভোর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময় এয়ারেটর চালাতে হবে।
বৃষ্টির দিনে এয়ারেটর না চালিয়ে দিন শেষে মধ্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সময়ে এয়ারেটর চালাতে হবে।
হেক্টর প্রতি ৪০-৫০ কেজি খাবার দেয়া হলে সেই জলাশয়ে মাঝেমধ্যে এবং হেক্টর প্রতি ৫৫-৬০ কেজি বা তার বেশি খাদ্য দেয়া হলে সেই জলাশয়ে নিয়মিত এয়ারেটর চালানো প্রয়োজন।
১৫°c তাপমাত্রা বা তার নিম্ন তাপমাত্রায় সাধারণত অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা যায় না তবে ২৭°c তাপমাত্রা বা তার বেশি তাপমাত্রায় পানির অক্সিজেন স্বল্পতা সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা। সুতরাং তাপমাত্রা বিবেচনায় এয়ারেটর পরিচালনা করতে হবে।
গ্রীষ্মের রাতে সাধারণত অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয়। তবে নিয়মিত বা মাঝেমধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী এয়ারেটর চালানো হলে রাতে সাধারণত অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয় না।
গ্রীষ্মের সময় প্রতিদিন অর্থাৎ রাতদিন ২৪ ঘন্টা সময়ে প্রতিটি জলাশয়ে গড়ে ৩-৬ ঘন্টা এয়ারেটর চালানো প্রয়োজন।
সতর্কতাঃ
এয়ারেটর চালানোর ফলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন মাত্রা কোন অবস্থাতেই ১৪ মিলিগ্রাম/লিটার এর বেশি যেন না হয়।
অতিরিক্ত এয়ারেটর চালানোর ফলে পানি ঘোলা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিরবচ্ছিন্ন এয়ারেটর চালানোর ফলে উৎপাদন ঠিকই বৃদ্ধি পাবে কিন্তু মাছচাষে লাভ কম হবে। তবে মাঝারি মাত্রায় এয়ারেটর চালানো হলে পানির গুণাগুণ উন্নত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং মাছচাষ লাভজনক হবে।
পুকুর বা জলাশয়ে পাড় ভাঙ্গা রোধের জন্য ০.৭৫ মিটারের কম গভীরে বা পড়ের কাছাকাছি পানিতে এয়ারেটর বসানো উচিত নয়।
এয়ারেটর নির্বাচনঃ
প্রতি একর জলাশয়ে পানির অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে ন্যূনতম ১-১.৫ এইচপি (এক অথবা দেড় অশ্ব ক্ষমতা) ১টি এয়ারেটর ব্যবহার করতে হবে। উষ্ণ জলবায়ু বা অত্যধিক ফাইটোপ্লাংক্টন অর্থাৎ ফাইটোপ্লাংক্টন ব্লুম থাকলে সেই জলাশয়ে ২ এইচপি ১টি এয়ারেটর ব্যবহার করতে হবে।
জলাশয়ের গভীরতা ১.৫ মিটারের কম হলে প্যাডেলে হুইল এয়ারেটর অথবা যে কোন সারফেস(Surface) এয়ারেটর এবং গভীরতা ১.৫ মিটারের বেশি হলে ভেঞ্চুরি এয়ারেটর ব্যবহার করতে হবে।
এয়ারেটরের সংখ্যা নির্ণয় :
এয়ারেটরের ক্ষমতা ও জলাশয়ের পরিমাণ জেনে হিসাব করে এয়ারেটরের সংখ্যা নির্ণয় করা যায়।
যেমন – পুকুরের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গুণফলকে ৪৩৫৬০ দিয়ে ভাগ করলে জলাশয়ের আয়তন একরে পাওয়া যায়।
জলাশয়ের একরে প্রাপ্ত ফলাফলকে এয়ারেটরের ক্ষমতা অর্থাৎ ২ অশ্ব ক্ষমতা দিয়ে ভাগ করলে কাঙ্খিত ২ অশ্ব ক্ষমতার এয়ারেটরের সংখ্যা পাওয়া যাবে।
উদাহরণঃ
ধরি, পুকুরের দৈর্ঘ্য ৫০০ ফুট এবং প্রস্থ ২০০ ফুট। অর্থাৎ দৈর্ঘ্য × প্রস্থ =৫০০×২০০=১০০০০০ বর্গ-ফুট। এ সংখ্যাকে ৪৩৫৬০ দিয়ে ভাগ করলে জলাশয়ের পরিমাণ একরে পাওয়া যায় অর্থাৎ ১০০০০০ ÷ ৪৩৫৬০= ২.২৯৫৬ একর।
জলাশয়ের এই ক্ষেত্রফল কে পূর্ণ সংখ্যা বিবেচনা করলে ক্ষেত্রফল বা পরিমাণ হয় ২ একর।
আমরা জানি, জলাশয়ভেদে একরে ১-১.৫ অশ্ব ক্ষমতার ১টি অথবা ২ অশ্ব ক্ষমতার ১টি প্রয়োজন হয়।
অতএব নির্দিষ্ট জলাশয়ের পানি সাধারণ অবস্থায় থাকলে ২ একর জলাশয়ে ১ অথবা ১.৫ অশ্ব ক্ষমতার দুটি, অন্যদিকে উষ্ণ আবহাওয়া কিংবা অধিক ফাইটোপ্লাংক্টন থাকলে সেই জলাশয়ে ২ অশ্ব ক্ষমতা সম্পন্ন ২ টি এয়ারেটর প্রয়োজন হবে।
লেখকঃ ঊর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম প্রামাণিক , মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন, ঢাকা।