হাঁস পালন করার পদ্ধতি
বর্তমানে আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে হাঁস পালন করা হচ্ছে। কেউ পারিবারিক ভাবে, কেউ ক্ষুদ্র পরিসরে খামার করে আবার অনেকে বাণিজ্যিক ভাবে বড় পরিসরে হাঁস পালন করে যাচ্ছেন। নিচে বাণিজ্যিক ভাবে হাঁস পালন করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলঃ
হাঁস পালনের গুরুত্ব
বাংলাদেশের নদী-নালা, খালবিল, হাওড়, পুকুর, ডোবা এছাড়াও এদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু হাঁস পালনের জন্য উপযোগী। গ্রামীণ পরিবেশে হাঁস প্রাকৃতিক খাদ্য বা বাড়ির উচ্ছিষ্ট খেয়ে থাকে। এই কারণে একজন খামারী হাঁসকে কম পরিমান খাদ্য প্রদান করেও সারা বছরই লাভজনকভাবে হাঁস পালন করতে পারে। তাছাড়া মুরগির রোগ-বালাই থেকে হাঁসের তুলনামূলক কম হয়। মাত্র কয়েকটি টীকা প্রদান করলেই তাদেরকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব।
পৃথিবীর বিভিন্ন জাতের হাঁস
মাংস ও ডিমের ভিত্তিতে পৃথিবীতে তিন ধরনের হাঁস দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো হলো-
(১) মাংসের জন্য বিখ্যাত,
(২) ডিমের জন্য বিখ্যাত এবং
(৩) ডিম ও মাংস দুটির জন্যই বিখ্যাত হাঁস।
(১) মাংসের জন্য বিখ্যাত হাঁস
মাংসের জন্য বিখ্যাত হাঁস হচ্ছে পিকিং, আয়লেশবারি, মাসকোভি, রুয়েল ক্যায়ুগা ও সুইডেন হাঁস। এই হাঁসগুলির হাঁসার ওজন ৫ কেজি হলে হাঁসি হবে কমপক্ষে ৪ কেজি।
(২) ডিমের জন্য বিখ্যাত হাঁস
ডিমের জন্য বিখ্যাত হাঁস হচ্ছে ”ইন্ডিয়া রানার” হাঁস নয় তো যেন আগের দিনের গ্রামের ডাক হরকরা।
পিঠে থলে বোঝাই জিনিসপত্র, আর মাথাটা উঁচুতে। ইন্ডিয়ান রানার এর রং তিন রকম- সাদা, পাঁশুটে অথবা সারা পিঠে পেনসিলের শিষের মতো দাগ কাটা।
(৩) মাংস এবং ডিমের জন্য বিখ্যাত হাঁস
মাংস ও ডিমের জন্য বিখ্যাত হাঁস হচ্ছে “খাঁকি ক্যাম্পবেল”। এই হাঁসটি সৃষ্টি হয়েছে দুটি হাঁস থেকে। আর তা হল- ইন্ডিয়ান রানার এবং রুয়েল ক্যায়ুগা।
প্রথমটা ডিমের জন্য এবং পরেরটা মাংসের জন্য বিখ্যাত। খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁসটি সৃষ্টি করেন তৎকালীন ভারতীয় ব্রিটিশ রাজ্যপাল পত্নী মিসেস ক্যাম্পবেল। হাঁসটির রং খাঁকি বা ছাই ছাই বাদামি। এই জন্য এই হাঁসের নাম রাখা হয় খাঁকি ক্যাম্পবেল
বৈশিষ্ট্য
বাণিজ্যিক ভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশে হাঁস উৎপাদনকারী এলাকাগুলোতে উন্নত জাতের কয়েকটি হাঁস এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলো।
দেশী জাতঃ
একটি হাঁসি বছরে প্রায় ৭০-৮০টি ডিম দেয় এবং উন্নত ব্যবস্থাপনায় আবদ্ধ অবস্থায় এগুলো (দেশী সাদা ও দেশী কালো) বছরে প্রায় ২০০-২০৫টি ডিম পাড়ে। প্রাপ্ত বয়স্ক হাঁসার ওজন ১.৭৫ –
২.৫০ কেজি এবং হাঁসীর ওজন ১.০ -১.৫০ কেজি।
খাঁকি ক্যাম্পবেলঃ
একটি হাঁসি বছরে ২৫০-৩০০টি ডিম পাড়ে। প্রাপ্ত বয়স্ক হাঁসার ওজন ২.২৫ – ২.৫০ কেজি এবং হাঁসীর ওজন ১.২৫ -১.৫০ কেজি।
জিংডিংঃ
একটি হাঁসি বছরে প্রায় ২৭০টি ডিম পাড়ে। প্রাপ্ত বয়স্ক হাঁসার ওজন ১.৭৫ – ২.০০ কেজি এবং হাঁসীর ওজন ১.২৫ -১.৫০ কেজি।
ইন্ডিয়ান রানারঃ
একটি হাঁসি বৎসরে ২৫০-৩০০টি ডিম পাড়ে। প্রাপ্ত বয়স্ক হাঁসার ওজন ২.২৫ – ২.৫০ কেজি এবং হাঁসীর ওজন ১.২৫ -১.৫০ কেজি।
পিকিংঃ
গায়ের রং সাদা, গড়ে ১৫০- ১৬০ টি ডিম পাড়ে, ওজন ৪ – ৪.৫ কেজি হয়ে থাকে।
মাসকোভিঃ
মাংসের জন্য ব্যবহার করা হয়, ডিম উৎপাদন ৮০ -১০০টি, ওজন ৬ – ৭ কেজি হয়।
বানিজ্যিক ভাবে হাঁস পালন পদ্ধতি
হাঁস বিভিন্ন পদ্ধতিতে পালন করা যেতে পারে, যেমনঃ
১. আবদ্ধ পদ্ধতি,
২. অর্ধ আবদ্ধ পদ্ধতি,
৩. মুক্ত রেঞ্ছ পদ্ধতি,
৪. হার্ডিং পদ্ধতি এবং
৫. ল্যানটিং পদ্ধতি।
১. আবদ্ধ পদ্ধতিঃ
এই পদ্ধতিতে হাঁসকে ঘরের মধ্যে রেখে লালন পালন করা হয়। এই পদ্ধতিতে রাতে হাঁস ঘরে আবদ্ধ
থাকে এবং দিনের বেলায় ঘরের সামনে চারণ (১০-১২বর্গফুট) এ ঘুরে বেড়ায়।
এই পদ্ধতি ৩ প্রকারঃ
মেঝেতে লালন পালন,
খাঁচায় লালন পালন এবং
তারের জালের ফ্লোর।
ফ্লোরে লালন পালনঃ
এই পদ্ধতিতে মেঝেতে লিটার বা তুষ এর উপর হাঁস পালন করা হয়।
খাঁচায় লালন পালনঃ
এই পদ্ধতিতে খাঁচাগুলো একটির পর একটি স্তরে স্তরে রেখে হাঁস পালন করা হয়।
তারের জালের ফ্লোরঃ
এই পদ্ধতিতে ফ্লোর থেকে উঁচু করে তারের জাল দিয়ে মাচা প্রস্তুত করে হাঁস পালন করা হয়। ফলে ফ্লোরের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ জায়গা কম লাগে।
২. অর্ধ আবদ্ধ পদ্ধতিঃ
এই পদ্ধতিতে হাঁসগুলো রাতে ঘরে আবদ্ধ থাকে এবং দিনের বেলায় ঘরের সামনে চারণ (১০-
১২বর্গফুট) এ ঘুরে বেড়ায়। খাদ্য ঘরের ভিতরে অথবা চারণে দেয়া যেতে পারে। তবে সুবিধাজনক হারে চারণে দেয়া ভাল।
ঘরের সাথে একটি পানির চৌবাচ্চা দেয়া যেতে পারে যার প্রস্থ ২০ ইঞ্চি এবং গভীরতা ৬-৮ ইঞ্চি
হয় যাতে হাঁসগুলো সহজে পানি খেতে এবং ভাসতে পারে।
৩. মুক্ত রেঞ্ছ পদ্ধতিঃ
এই পদ্ধতিতে হাঁসকে কেবলমাত্র রাতের বেলায় ঘরে আটকিয়ে রাখা হয় এবং দিনের বেলায় হাঁস
বিভিন্ন জায়গায় যেমন-নদী নালা, খালবিল, হাওড়, পুকুর, ডোবায় বেড়িয়ে খায়।
পূর্ণ বয়স্ক হাঁসের জন্য ৩ বর্গফুট জায়গা দরকার এবং বাড়ন্ত হাঁসের জন্য ২ বর্গফুট জায়গা
দরকার। বাংলাদেশে বেশির ভাগ হাঁস এই পদ্ধতিতে পালন করা হয়ে থাকে।
৪. হার্ডিং পদ্ধতিঃ
এই পদ্ধতিতে হাঁসগুলোকে কোন প্রকার ঘরে রাখা হয়না। যে সমস্ত জায়গায় খাবার আছে সেই
সকল এলাকায় হাঁসগুলোকে নিয়ে যাওয়া হয়। সারাদিন খাদ্যগ্রহণ করে রাতের বেলা হাঁসগুলোকে
কোন একটি উঁচু জায়গায় আটকিয়ে রাখা হয়। এভাবে হাঁসগুলোকে একটি নির্দিষ্ট জায়গার
কিছুদিন খাওয়ানোর পর অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে হাঁসের খামার করছেন তারা এই পদ্ধতিতেই হাঁস পালন করেন। এতে খাবার খরচ অনেক কম হয়।
৫. ল্যানটিং পদ্ধতিঃ
এই পদ্ধতিতে বড় বড় বিল, হাওড়, জলাশয় এবং আশে পাশে ঘর তৈরী করে হাঁস পালন করা হয়, যাতে হাঁসগুলো রাতের বেলায় থাকে। প্রতিটি ফ্লকে ১০০-২০০টি হাঁস থাকে।
হাঁসের বাসস্থান ও ঘরের ব্যবস্থাপনা
হাঁস পালনে সবচেয়ে সুবিধা ওদের বাসস্থন দেবার ব্যাপারে। নিচু, উচু, স্যাতসেতে বা জলো এবং শুকনো খটখটে প্রায় সবরকম জায়গায় হাঁস পালন চলবে। বরঞ্চ জলো বা সঁযাতসেতে জায়গা ওরা বেশি পছন্দ করে।
বড় বড় ফলের ঝুড়ি, কাঠের বাক্স, তেলের ড্রাম বা পালনকারীর সুবিধামতো কোন একটা জায়গা হাঁসকে দিলেই চলবে। আশ্রয় তবে যাই হোক না কেন মুখটা যেন ভালো করে খোলা থাকে। কারণ হাঁসের স্বভাব হলো ঘরে মাথা উঁচু করে ঢোকা।
হাঁস খুব বেশী গরম ও খুব বেশী ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। হাঁসের ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে বেশী খরচ না করে সীমিত খরচের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ। আবার বাসস্থান নির্মাণ করতে গিয়ে এমন নড়বরে ঘর রাখা উচিৎ নয় যাতে শিয়াল, বন বিড়াল, নেউল, চিকা, ইদুর ইত্যাদি হাঁস ও হাঁসের বাচ্চার ঘরে প্রবেশ করে ক্ষতি করতে পারে।
স্থান নির্বাচনঃ
খোলামেলা উঁচু ও রৌদ্র থাকে এমন জায়গা নির্বাচন করা উচিত,
ড্রেন কাটার সুবিধা আছে এবং ঘাস জন্মাতে পারে এমন স্থান নির্ধারণ করা উচিত,
ঘরের আশে পাশে গাছ বা জঙ্গল থাকা এবং মুরগীর খামারের পাশে থাকা ঠিক নয়,
হাঁসের সংখ্যা এবং কি ধরণের ঘরে হাঁস পালন করা হবে তা বিবেচনা করে ঘর তৈরী করতে হবে।
ঘরের নমুনাঃ
অল্প হাঁসের জন্য ছোট ঘর এবং বেশী হাঁসের জন্য বড় স্থায়ী ঘর তৈরী করাই ভাল।
লম্বা, সরু এবং চারকোণা ঘর তৈরী করা উচিত।
গ্রামীন পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিষয় চিন্তা ভাবনা করে ঘরের চালা নির্বাচন করতে হবে।
মেঝে এবং মেঝের পরিমাপঃ
মেঝে অবশ্যই স্যাঁতসেঁতে মুক্ত হবে এবং কোন প্রকার গর্ত থাকবে না।
১-২ সপ্তাহ বয়সের বাচ্চার জন্য ১/২ বর্গফটু, ৩-৪ সপ্তাহ বয়সের বাচ্চার জন্য ১ বর্গফুট এবং ৫-৭ সপ্তাহ ও এর উপরের বয়সের হাঁসের জন্য ২ বর্গফুট জায়গার দরকার।
খাবার ও পানির পাত্রঃ
ঘরে পানির জন্য ওয়াটার চ্যানেল তৈরী করতে হবে যার প্রস্থ ২০ ইঞ্চি এবং গভীরতা ৮-৯ ইঞ্চি।
হাঁসের খাদ্য ব্যবস্থাপনা
গ্রামাঞ্চলে হাঁস অর্ধ আবদ্ধ পদ্ধতিতে পালন করা হয়। পুকুর খাল-বিল, নদী ইত্যাদিতে হাঁস চড়ে বেড়ায় এবং এখান থেকেই খাদ্য সংগ্রহ করে। অনেক খামারীগণ হাঁসকে শুধু ধানের কুঁড়া, চাল, গম এসব খেতে দেয়।
সাধারণত বর্ষা মৌসুমে সম্পুরক খাদ্য হিসেবে বাচ্চা প্রতি ৫০ গ্রাম এবং বয়স্ক গুলোকে ৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে।
শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক খাদ্যের পর্যাপ্ততা কমে যাবার কারণে ঐ সময় খাবার পরিমাণ (৭০-৮০ গ্রাম) বাড়িয়ে দিতে হয়। খাদ্য ব্যবস্থাপনায় এ ধরণের পরিবর্তন আনলে হাঁসের ডিম উৎপাদন বেড়ে যায়।
খাদ্য উপকরণে যে পুষ্টি উপাদান অধিক পরিমানে থাকে তাকে সে জাতীয় খাদ্য বলে। যেমন-
শর্করা জাতীয় খাদ্য
এ জাতীয় খাদ্য হচ্ছে ভুট্টা, গম, কাওন, চাউলের কুঁড়া, গমের ভুষি, ইত্যাদি।
আমিষ জাতীয় খাদ্য
সয়াবিন মিল, তিলখৈল, শুটকিমাছ, মিটমিল, ইত্যাদি হচ্ছে আমিষ জাতীয় খাদ্য।
চর্বি জাতীয় খাদ্য
এনিমেল ফ্যাট, হাঁস-মুরগরি তৈল, ভেজিটেবল অয়েল, সার্কলিভার ওয়েল, ইত্যাদি এই গুলো চর্বি জাতীয় খাদ্য।
ভিটমিন জাতীয় খাদ্য
ভিটামিন জাতীয় খাদ্য হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জি ও কৃত্রিম ভিটামিন।
খনিজ জাতীয় খাদ্য
ঝিনুক, ক্যালশিয়াম ফসফেট, রকসল্ট, লবন, ইত্যাদি হচ্ছে খনিজ জাতীয় খাদ্য।
পানি
দেহ কোষে শতকরা ৬০- ৭০ ভাগ পানি থাকে। তাই কোন প্রাণি খাদ্য না খেয়েও কিছু দিন
বাঁচতে পারে, কিন্তু পানি ছাড়া সামান্য কিছু দিনের বেশী বাঁচা সম্ভব না।
সাধারণত দেহ থেকে পানির ক্ষয় হয় মলমূত্র ও শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে।
অপরদিকে পানি আহরিত হয় পানি পান করে, রসালো খাদ্য গ্রহণ করে এবং দেহের ভিতর বিভিন্ন পুষ্টি উপদানের অক্সিডিশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
দেহের বেশির ভাগ অংশ পানি দ্বারা গঠিত।
ডিমের বেশির ভাগ অংশ পানি দ্বারা গঠিত।
হাঁস-মুরগির দেহে পানির কাজঃ
– খাদ্যতন্ত্রের মধ্যে খাদ্য বস্তু নরম ও পরিপাকে সাহায্য করে।
– খাদ্যতন্ত্রের মধ্যে পুষ্টি উপাদান তরল করে দেহের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিবহণ করে।
– দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও দেহকে সতেজ রাখে।
– দেহের ভিত্তিতে দুষিত পদার্থ অপসারণ করে।
– দেহের গ্রন্থি হতে নিঃসৃত রস, হরমোন, এনজাইম এবং রক্ত গঠনে ভূমিকা রাখে।
শর্করা জাতয়ি খাদ্য আবার ২ প্রকার
দানাদারঃ
সকল প্রকার দানাদার খাদ্যশস্য যেমন, ভুট্টা গম, যব, কাওন, চাউল, ইত্যাদি।
আঁশঃ
সকল প্রকার দানাদার খাদ্যের উপজাত যেমন চাউলের কুঁড়া, গমের ভূষি, ভুট্টার গুটেন, কাসাভা, ইত্যাদি।
হাঁস-মুরগির খাদ্যের বেশীর ভাগ শর্করা পুষ্টি উপাদান যেমন দানাদার শতকরা ৪০ হতে ৬০ ভাগ এবং উপজাত অংশ শতকরা ১০ হতে ৩০ ভাগ ব্যবহার করা হয়।
আমিষ জাতীয় খাদ্য আবার ২ (দুই) প্রকার
প্রানিজ আমিষঃ
যে সমস্ত আমিষের উৎস প্রানী থেকে হয় তাকে প্রানীজ আমিষ বলে। যেমন, শুটকি মাছ, শুটকি মাংস মিট ও বোনমিল, ফিদার মিল, লিভার মিল, প্রোটিন কনসেনট্রেট, ইত্যাদি।
উদ্ভিদ আমিষঃ
যে সমস্ত আমিষের উৎস উদ্ভিদ থেকে হয় তাকে উদ্ভিদ জাতীয় আমিষ বলে। যেমন, সায়াবিন মিল, তিলখৈল, তৈল বীজের খৈল, তুলা বীজের খৈল, সবুজ শাকসব্জি, ইত্যাদি।
Sajib Agro Farm and Hatchery in Bangladesh.
প্রেরকঃ মোঃ আরাফাত হোসেন( সহকারী তথ্য কমকর্তা, মৎস্য ও প্রানিসম্পদ তথ্য দপ্তর, বরিশাল)