দেশি জাতের মাত্র ২টি গরু দিয়ে অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারীর উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের চর পাত্রখাতা এলাকার মোজাম্মেল শুরু করেছিলেন গরুর খামার। সময়ের পরিক্রমায় আজ তিনি হয়েছেন স্বাবলম্বী, অভাব ঘুচিয়ে পরিবারে এসেছে স্বচ্ছলতা।
জানা যায়, নিজের চেষ্টা আর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে শুন্য থেকে উঠে এসেছেন মোজাম্মেল। বর্তমানে তিনি স্বপ্ন দেখছেন গরুর খামারটি আরও বড় করার। পাশাপাশি একটি ছাগলের খামার করার চিন্তা করছেন।
মোজাম্মেল বলেন, বর্তমানে তার খামারে ৬টি গাভী ও ২টি বাছুর রয়েছে। তবে কিছুদিন আগে ৫টি গরু বিক্রি করেছি প্রায় ২ লাখ টাকায়। বাড়ির উঠানে ফাঁকা জায়গায় খামার করেছি। আগে প্রতিদিন ১০-১২ লিটার দুধ পাওয়া গেলেও বর্তমানে কিছুটা কম পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, গাভী পালনের পাশাপাশি এখন একটি ছাগলের খামার করার চিন্তা ভাবনা করছি। জীবনে হতাশ না হয়ে পরিশ্রম করলে সফলতাকে ধরা দিতেই হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম বলেন, গরু পালন একটি লাভজনক পেশা৷ জেলার অনেকেই মোজাম্মেলের মত গরু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।