ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বড় ফেনী নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে প্রায় ১০ মণ ওজনের বিশাল আকারের একটি ‘শাপলাপাতা’ মাছ।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে উপজেলার চর খোন্দকার জেলেপাড়া এলাকার জেলে হিরেন্দ্র জলদাসের জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে মাছটিকে নদীর তীরে ঘাটে নিয়ে এলে হরিশংকর নামে এক ব্যবসায়ী আট হাজার টাকা মণ দরে ৮০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন। এ সময় উৎসুক মানুষ মাছটি দেখতে ভিড় করেন।
মৎস্যজীবী হিরেন্দ্র জলদাস জানান, তিনি একই দিন সকালে তিনজন সহকারী নিয়ে মাছ ধরতে বড় ফেনী নদীর শেষ সীমানায় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় যান। দুপুরের পর জালটি টেনে তোলার সময় বেশ ভারী অনুভূত হয়।
এ সময় নৌকায় থাকা তারা চারজন মিলে জাল টেনে তুলতে পারছিলেন না। পরে আশপাশের নৌকা থেকে আরও চার-পাঁচজনকে ডেকে এনে জালটি নৌকায় তোলা হয়। তখন তিনি দেখতে পান, তাদের জালে ধরা পড়েছে ‘শাপলাপাতা’ মাছ। পরে বিকেলে তারা মাছটি নৌকায় করে নদীর তীরে স্থানীয় আড়তে নিয়ে যান। শাপলাপাতার সঙ্গে ৩০ কেজির অন্য আরও মাছ ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: ধরা পড়ল বিশ্বের ‘সবচেয়ে বড়’ মিঠাপানির মাছ, ওজন ৩০০ কেজি
নৌকার মালিক হিরেন্দ্র জলদাস বলেন, ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে নদীতে তেমন বড় মাছ ধরা পড়ছে না। মাঝেমধ্যে দু-একটি মাছ পাওয়া যায়। তবে বড় আকারের শাপলাপাতাজাতীয় মাছ এই অঞ্চলে তেমন দেখা যায় না। বেশ কয়েক বছর পর ‘শাপলাপাতা’ মাছ ধরা পড়েছে। তবে মাঝেমধ্যে ১০ থেকে ২০ কেজি ওজনের শাপলাপাতা মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে থাকে। বেশ কয়েক বছর পর এবার এত বড় মাছ ধরা পড়ল।
ছুট্টু মহাজন নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি শাপলাপাতা মাছটি দেখে খুব খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে এ ধরনের মাছ দেখিনি। বাড়িতে দেখানোর জন্য মোবাইল ফোনে মাছটির ছবি তুলেছি।’
সোনাগাজী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা সময় সংবাদকে বলেন, শাপলাপাতা একটি সামুদ্রিক মাছ। স্থানীয়ভাবে হাকুস মাছ হিসেবে পরিচিত। তবে এ অঞ্চলে বেশি একটা ধরা না পড়ায় এর চাহিদা ও পরিচিতি কম। মাছটির অনেক প্রজাতির মধ্যে এটি রে (RAY) প্রজাতির। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কাছে এটি খুবই সুস্বাদু ও জনপ্রিয় একটি মাছ।