শখের বশে হাঁস পালন শুরু করলেও এখন এই হাঁস পালন করেই হোসেন আলীর সংসার চলে। সারাদিন হাঁসের দেখাশোনা করেন তিনি। হাঁস পালনে তার জীবন জীবিকা এমন উন্নতি দেখে অনেকেই হাঁস পালনে ঝুঁকছেন।
জানা যায়, হোসেন আলী সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ভাদার গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ১ যুগ ধরে তিনি হাঁস পালন করছেন। এই হাঁস পালনের মাধ্যমেই তিনি স্বচ্ছল হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন জাতের ৬০০ হাঁস পালন করছেন। হাঁস পালনে তার সফলতা দেখে অনেকেই হাঁস পালনে ঝুঁকছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, হোসেন আলী হাসিমাখা মুখে ক্ষুধার্ত হাঁসগুলোকে খাবার দিচ্ছেন। হাঁস গুলো নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ান। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে হাঁসগুলোকে খাওয়ান। খাবার নিয়ে আসলে সাথে সাথে সবগুলা হাঁস তাকে ঘিরে ধরে।
হোসেন আলী বলেন, আমি প্রায় এক যুগ ধরে হাঁস পালন করছি। হাঁস গুলোকে আমি খুব ভালোবাসি। বর্তমানে আমার ৬০০ হাঁস রয়েছে। তার মধ্যে ২০০টি হাঁস ডিম দেয়। হাঁসগুলোকে দুইবেলা করে খাবার দেই। আবার ঘুরে ঘুরেও খাবার খাওয়াই।
তিনি আরো বলেন, প্রথম দিকে শখ করে দু-একটা হাঁস পালন করলেও এখন এই হাঁস পালনেই আমরা সংসার চলে। হাঁসগুলোকে আমি ধান খাওয়াই। কারণ ধান খাওয়ালে হাঁস বেশি ডিম পাড়ে। তারপর মাঝে মধ্যে খাল-বিলে ছেড়ে দেই। তখন ঘুরে ঘুরে খাবার খায়।
স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী কেরামত আলী বলেন, হোসেন আলীকে অনেকদিন যাবত হাঁস পালন করতে দেখছি। শহরে হাঁসের অনেক চাহিদা। আমি তার কাছ থেকে ডিম নিয়ে এসে বিক্রি করি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার বলেন, হাঁস পালন খুব লাভজনক। খুব অল্প খরচেই হাঁস পালন সম্ভব। খাদ্য হিসেবে ধান ও চালের কুঁড়া দেওয়া যায়। আবার বাইরে ছেড়ে দিলে ঘুরে ঘুরে খাবার খায়। হাঁস ৫ মাস বয়সেই ডিম পাড়ে। তাই খুব অল্প খরচে ও স্বল্প সময়েই হাঁস পালনে লাভবান হওয়া যায়।