গ্রাম বাংলার সুস্বাদু ও দামি মাছ বলে পরিচিত শিং মাছ। আগে নদী-নালা, খাল-বিলে এই শিং মাছ পাওয়া যেত। বর্তমানে অধিকাংশ নদী-নালা শুকিয়ে যাওয়ায় এই মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে এই মাছকে বিলুপ্তির পথ থেকে ফিরিয়েছেন নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার মৎস্য চাষিরা। নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার বালুভড়া ইউনিয়নে মোঃ বাবু হোসেন শিং মাছ চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার মাছ চাষে তাকে সফল হতে দেখে অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, মৎস্য চাষি মোঃ বাবু হোসেন নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার বালুভড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ৩ বিঘা পুকুর লিজ নিয়ে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে শিং মাছ চাষ করছেন। অল্প সময়ে ও কম খরচে শিং মাছ চাষ করে লাভবান তিনি। তার পাশাপাশি এখন অনেকেই মাছ চাষে ঝুঁকেছেন।
শিং চাষি বাবু হোসেন বলেন, প্রথমে পুকুর সংস্কার করে তাতে চুন দেওয়ার পর পানি দিয়ে ভর্তি করলাম। তারপর ৩ বিঘা পুকুরে প্রায় ৬০ হাজার পিস শিং মাছের পোনা নিয়ে এসে পুকুরে ছেড়ে দেই। অতপর নিয়মিত খাবার দিয়ে চাষ শুরু করি। দিনে ২-৩ বার মাছকে ভাসমান ও ডোবানো খাবার দেই। এছাড়াও চালের মিহি গুড়া, গমের ভুসি, চালে খুত, আটা, সরিষার খৈল, তীলের খৈল, সয়াবিন মিল্ক, ভূট্টা চূর্ণ মিলিয়ে খাবার তৈরী করেও মাছকে খাওয়ানো হয়।
তিনি আরো আরো বলেন, ৩ বিঘায় শিং মাছ চাষে খরচ হয় ৪ লক্ষ টাকা। ৬-৮ মাস পর এই মাছ তুলে বাজারজাত করে করতে পারি। এতে ৮ লক্ষ টাকার শিং মাছ বিক্রি করতে পারি। ফলে বছরে ৩-৪ লক্ষ টাকা আয় করতে পারছি।
বর্তমানে স্থানীয় বাজারে তিনি প্রতি কেজি শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই মাছ সরবরাহ করছেন তিনি।
সূত্র:আধুনিক কৃষি খামার