রাজশাহীর কাটাখালি থানার,চর খিদিরপুর গ্রামের মোহাম্মদ রেজাউল বলেন আমার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। পারিবারিকভাবে কৃষি কাজের সাথে জড়িত। বর্তমানে আমি ও আমার স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে। ৪ সদস্যের পরিবার। বড় মেয়ে ক্লাস সেভেন পড়ে ও ছেলেটা ক্লাস ফাইভে পড়ে।
আমার ছোট ভাই ও চাচা মিলে যৌথভাবে আমাদের ৫০ টি ভেড়া, ৯০ টি গরু, ৩টি মহিষ ও বাড়ীতে মহিলারা হাঁস-মুরগি দেখাশোনা করে থাকে।
আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব জমি থাকায় সেখানে ধান, গমের চাষাবাদ করি। আমারা সরাসরি কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত।
পদ্মা নদীর চারণভূমিতে আমাদের গরু, মহিষ, ভেড়ার প্রয়ােজনীয় সবুজ ঘাস চারণভূমিতে চরে খেয়ে থাকে। আলাদা করে বাড়তি খাবার দিতে হয় না। ঢাল মৌসুমে চারণভূমিতে বর্ষার পানি উঠে গেলে তখন গবাদি পশুকে কালাই, কালাই ভূষি, চাউলের কুঁড়া ও নিজস্ব তৈরিকৃত জমিতে কাঁচা ঘাস খাবার হিসেবে দিয়ে থাকি। এবং বর্ষা মৌসুমে গবাদি পশুর রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয় সে সময় আমাদের বিশেষ নজর রাখতে হয়। রোগসমূহের মধ্যে ভেড়ার কলেরা, গরুর ক্ষুরা রোগ, চোখ উঠা অন্যতম।
রাজশাহীর তালাইমারি পশু হাসপাতালের লোকেরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখে এবং কোন সমস্যায় আমরাও যায়।
তিনি আরো জানান প্রতিমাসে ১২-১৫ টি গরুর দুধ দেয় যার পরিমাণ ২৫-৩০ লিটার মতো। এবং প্রতিটি গরু ৬০-৭০ হাজার টাকা, মহিষ ৮০ হাজার ও ভেড়া ৬ হাজার টাকা করে গড়ে বাজারে বিক্র করি। আমাদের এক এক জনের খরচ হয় বছরে ৫০-৬০ হাজার টাকা করে। নিজস্ব জমি থাকায় নিজেরাই ঘাস চাষ করি যার কারণে তেমন কিছু কিনতে হয় না। বাড়তি কোন খরচের জামেলাও নেই। তাদের এই গবাদি পশুর পালন পদ্ধতি আশপাশের মানুষকে এ কাজে উদ্বুদ্ধ করে। অনেক শিক্ষিত বেকার এখন খামার করতে চাইলে তাদেরকে সু-পরামর্শ প্রদান করেন।
খামারী ভাইদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক লিফলেট, ফোল্ডার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশন প্রদান করা হয়। এবং কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে নিকটস্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ ও প্রাণিসম্পদ কল সেবা নাম্বার- ১৬৩৫৮ সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক,
খালেক হাসান (কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক)