২৮/০৩/২০২৪ খ্রি.
গ্রামের হাই স্কুল থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন আ. হাকিম। অনেকটা খামখেয়ালি আর পরিবেশগত কারণেই পড়ালেখায় ব্যঘাত ঘটে। পারিবারিক সুত্রধরে কৃষি কাজ হাতে নিতে হয় তাকে। ২০১৮ সালে মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রথমে সামান্য জলাশয়ে মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পান তিনি। এতে মাছ চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। কৃষি কাজের পাশাপাশি মাছ চাষ শুরু করেন। উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নির্জন এক পল্লী গ্রামে হানিফ নামের একব্যক্তির কাছে ১২০ দিনের জন্য ৯ হাজার টাকায় লিজ নেন ৫৪ শতাংশ জমির পুকুর । পুকুরে মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। সেখানে সর্বসাকুল্যে খরচ হয় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। মেয়াদ শেষে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করে তাতে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লাভ হয়।
এ ব্যপারে আ. হাকিম জানান, মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ ও আর্থিক সহোযগিতা নিয়ে আমি মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করি। পাঙ্গাস মাছের পাশাপাশি কার্প জাতীয় মাছ চাষ বেশ লাভ জনক। বাজার মন্দার কারণে লাভের অংশ কম হয়েছে। ২ লক্ষাধিক টাকা আয়ের লক্ষমাত্রা ছিল আমাদের। নতুন করে প্রায় সাড়ে ৪ একর পরিমান আরো তিনটি পুকুর ভাড়া নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছি। বেকার যুবকদের মাছ চাষে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা? বলেন, আ. হাকিম আমাদের পরামর্শ নিয়ে ৫৪ শতাংশ জমির পুকুরে পাঙ্গাস মাছের পাশাপাশি কার্প জাতীয় মাছ চাষ করে ১২০ দিনে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আয় করেন। মাছ চাষে সফলতা পেয়ে তিনি আরো তিনটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন। আশা করি আ. হাকিম মাছ চাষ করে অল্প দিনের মধ্যে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। উপজেলায় পাঙ্গাস মাছ চাষ লাভজনক বলে তিনি সকলকে মাছ চাষে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
পরিশেষে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা থেকে আ. হাকিমকে মাছ চাষ বিষয়ক বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ করে ,মাছ চাষ ও মাছের যেকোন রোগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ প্রদান করা হয় ।
প্রতিবেদনকারী
মো. খাদেমুল ইসলাম
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা।