ছাগলের দুধের উপকারিতা
আমাদের খাদ্য তালিকায় দুধ অতি প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য একটি খাবার। যা আমাদের শরীরের পুষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দুধ থেকে প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদানই পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে ছাগলের দুধ। ছাগলের দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খুবই উপকারী।
বিশ্বে যে পরিমাণ দুধ ও দুধের খাবার বিক্রি হয় তার প্রায় ৬২-৭২ শতাংশই তৈরি হয় ছাগলের দুধ থেকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ছাগলের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। তার কারণ গরুর থেকে ছাগল পরিচর্যা করা বা পোষা অনেকটাই সহজ। তাই ছাগলের দুধ অনেক সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও শুধুমাত্র সহজে পাওয়া যায় বলেই নয়, এ দুধে রয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ।
ক্যালরি, প্রোটিন আর ফ্যাটের একটি দারুণ উৎস ছাগলের দুধ। আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য যে ক্যালসিয়াম প্রয়োজন, তার বেশির ভাগই আসে দুধ থেকে। এ জন্য চলাফেরায় দুধের ভূমিকা অনন্য। আমাদের দৈনিক ক্যালসিয়াম এবং ফ্যাটের চাহিদা মেটানো ছাড়াও, এক গ্লাস দুধ বিপাক বাড়াতে সহায়ক।
যদিও গবেষণা বলছে ছাগলের দুধ আমাদের শরীরের অন্যান্য খাবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি শোষণ করার ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তাই কিছু মানুষ হজমের কারণে গরুর দুধের পরিবর্তে ছাগলের দুধ বিকল্প হিসেবে বেছে নেয়। গরুর দুধের তুলনায় ছাগলের দুধে প্রতি কাপে প্রায় ১২ শতাংশ কম ল্যাকটোজ থাকে। যার কারণে এটি ল্যাকটোজ অ্যালার্জি এবং গ্যাস্ট্রিক রোগীরাও খেতে পারেন।
শিশুদের জন্য ছাগলের দুধ খুবই উপকারী। প্রাচীনকাল থেকেই এই দেশে ছাগলের দুধ খাওয়ার প্রথা চলে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একটি শিশুকে জন্মের পরই যদি কোনো বাইরের খাবার খাওয়াতে হয় তাহলে অবশ্যই বাবা-মায়েরা তাকে নির্ভয়ে ছাগলের দুধ পান করাতে পারেন। কারণ ছাগলের দুধের খাদ্যগুণ প্রচুর।
তবে ছাগলের দুধ কেন উপকারী তার অবশ্য একটি বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। তারা জানিয়েছেন, ছাগলের শরীরে চর্বি থাকে না। ছাগল সর্বদা সক্রিয় থাকে, প্রচুর পরিমাণে পানি আর ঘাস খায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলো ছাগলের দুধেও রয়েছে। ছাগলের দুধে ফ্যাট থাকেলেও এটি পান করলে মানুষের ফ্যাট অনেকটা কমে যায়। এটি মানুষকে সক্রিয় করে তোলে আর শক্তি বাড়ায়। শুষ্কতা আর দুর্বলতার জন্য ছাগলের দুধ ভালো। ছাগলের দুধ সর্দিকাশি কমাতে সাহায্য করে।
পোস্ট : হাসিবুর রহমান
সংগৃহিত।