ঈদের আমেজ শেষ হয়েছে ঠিকই কিন্তু ফ্রিজে কিন্তু তার রেশ রয়ে গেছে। কমবেশি সকলেরই ফ্রিজ ভরে আছে গরুর মাংসে। একঘেয়ে তরকারিও আর মুখে রুচছে না? চিন্তার কারণ নেই। এ সমস্যার সমাধান দিয়েছেন শারমিন আক্তার। রইলো ভিন্ন ধরণের গরুর মাংসের ৩ পদ।
- বাদাম পেস্ট তৈরি
- পোস্তদানা ১ টেবিলচামচ
- কাঠ বাদাম ১/২কাপ (গরম পানিতে ভিজিয়ে ছোলা তুলে নিন)
- কিশমিশ ১ টেবিলচামচ
- নারিকেল কোরানো ২ টেবিলচামচ
- দুধ ১ কাপ
কোরমা রান্না
- গরুর/খাসির মাংস ১ কেজি
- পেয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ
- টক দই ১ কাপ
- আদা রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
- মরিচ গুড়ো ১ চা চামচ
- টালা জিরা ও ধনে গুড়ো ১ চা চামচ
- জায়ফল ও জয়ত্রী গুড়া ১/৪ চা চামচ
- তেজপাতা ২টি
- এলাচ ৫টি
- দারচিনি ৩ টি
- লবঙ্গ ২টি
- তেল ১ কাপ
- চিনি ১ চা চামচ
- লবণ স্বাদমত
- কেওড়া জল ১ চা চামচ
- ঘি ১ টেবিলচামচ
প্রণালী
হাড়িতে তেল ও আস্ত গরম মশলা দিয়ে মাংস দিয়ে দিন। আদা রসুন বাঁটা, টালা জিরা, ধনে ও মরিচ গুড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন। পানি কিছুটা টেনে গেলে দই ফেটিয়ে দিন। এখন পেঁয়াজ বেরেস্তা, জায়ফল ও জয়ত্রী, গরম মশলা ও লবণ দিয়ে অল্প আঁচে ঢেকে দিন। কিছুসময় পরপর নেড়ে কষিয়ে নিন। তেল ওপর উঠে এলে বাদাম দুধের পেস্ট দিয়ে অল্প আচে ঢেকে দিন। পানি দেবেন না। মাংস সেদ্ধ হলে কেওড়া, চিনি ও কিছু আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে মিশিয়ে ৫ মিনিট দমে রাখুন। অন্য প্যানে ১ টেবিলচামচ ঘি দিয়ে তুলে রাখা বাদাম দিয়ে একটু ভেজে মাংসের ওপর দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
কোপ্তা উপকরণ
- গরুর মাংস হাফ কেজি
- বুটের ডাল ২৫০ গ্রাম
- পেয়াজ কুচি ১ কাপ
- আদা কুচি ২ টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ কুচি ৫/৬ টি
- শুকনো লাল মরিচ ৬/৭ টি
- হলুদ গুড়ো হাফ চা চামচ
- ধনিয়া গুড়ো হাফ চা চামচ
- জিরা গুড়ো হাফ টেবিল চামচ
- রসুন বড় ১ টি
- তেজপাতা ২টি
- দারচিনি ২ টুকরো
- লবণ স্বাদ মত
প্রণালী
মাংস সহ সব উপকরণ একসাথে করে প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন। ১০/১২ টা সিস আসা অব্দি অপেক্ষা করুন। মাংস ডাল সেদ্ধ হয়ে শুকিয়ে গেলে নামিয়ে পাটায় মিহি করে বেটে নিন। তেজপাতা দারচিনি ফেলে দিয়ে বাকি সব বেটে নিন। এবার এই বেটে নেওয়া মাংসের সাথে ১টা ডিম দিয়ে খুব ভালো ভাবে মেখে নিন। মাখানো হয়ে গেলে অল্প অল্প বাটা মাংস হাতে নিয়ে গোল ছোট ছোট করে কাবাব বানিয়ে নিন। কাবাব বানানোর সময় হাতের তালুতে তেল মেখে নিলে হাতে লেগে যাবে না। কাবাব বানিয়ে আধঘন্টা নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে নামিয়ে কাবাব এমনিতে ও ভাজা যাবে। আবার ফেটানো ডিমে চুবিয়েও ভাজা যাবে। যে যেভাবে পছন্দ করেন। গরম তেলে বাদামি করে ভেজে তুলুন। তাহলেই তৈরি হয়ে গেলো বিফ কোপ্তা।
পোলাও উপকরণ
- পোলাওর চাল ১ কেজি
- ঘি ও তেল দুটো মিলে হাফ কাপ
- তেজপাতা ২ টি
- দারচিনি ২ টুকরো
- কিশমিশ পরিমানমত
- ঘি ৩ টেবিল চামচ
- পেয়াজ কুচি হাফ কাপ
- লবন স্বাদ মত
- আদা বাটা ১ চা চামচ
- ঘি ৩ টেবিল চামচ
- পেয়াজ বেরেস্তা পরিমাণমত
প্রণালী
চুলায় পাতিল/হাড়ি বসিয়ে তাতে তেল ও ঘি দিয়ে দিন। ঘি গরম হলে তাতে দারচিনি তেজপাতা দিয়ে নাড়ুন। অল্প কিছুক্ষণ নেড়ে তাতে পেয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ হালকা ভাজা হলে তাতে আদা বাটা দিয়ে নেড়ে চাল দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ নেড়ে চাল ভেজে তাতে ফুটানো গরম পানি দিন। ১ কেজি চালে দেড় কেজির মত পানি লাগবে। চাল যদি কোন কাপ দিয়ে মাপা হয় তাহলে যে কাপ দিয়ে চাল মাপা হবে সে কাপের ডাবল পানি দিতে হবে। যেমন দেড় কাপ চালে ৩ কাপ পানি দিতে হবে। পানি আর লবণ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে কিছু সময়ের জন্য। পোলায়ের পানি শুকিয়ে গেলে চুলার ওপর একটি তাওয়া বা প্যান রেখে তার ওপরে পোলায়ের পাতিল রেখে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিতে হবে। এবার পোলাও তে ঘি দিয়ে নেড়ে ঢেকে রেখে দমে রাখতে হবে ১৫/২০ মিনিট। ঢাকনা খুলে আবার নেড়ে দিলেই পোলাও ঝরঝরে হয়ে যাবে। কিশমিশ দিয়ে পোলাও নেড়ে দিতে হবে। পরিবেশনের আগে সার্ভিং ডিশে পোলাও নিয়ে ওপরে পেয়াজ বেরেস্তা কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল পোলাও। চাইলে কোপ্তা গুলো পোলায়ের সঙ্গে মিশিয়েও নেওয়া যায়। আবার সার্ভিং ডিশে পোলাও নিয়ে তার ওপরেও সাজিয়ে পরিবেশন করা যায়।
কড়াই গরুর কালাভুনা