২০১৭-২০১৮ সালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে ৩৩.৩৫ লাখ ভেড়া আছে। উপাদেয় হলেও ভেড়ার মাংস সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকায় দেশে এর চাহিদা অনেক কম। খাবার হিসেবে দেশের মানুষ ভেড়ার চেয়ে ছাগল বা গরুর মাংসের দিকেই বেশি আকৃষ্ট। কিন্তু গরু বা ছাগলের মাংসের চেয়ে ভেড়ার মাংসের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি, গবেষণার মাধ্যমে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ‘ভেড়ার মাংস জনপ্রিয়করণ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন গবেষণা প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ এহসানুর রহমান।
গবেষণায় সহকারী গবেষক হিসেবে ছিলেন পশু বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান মোহাম্মদ মোর্শেদ।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ এহসানুর রহমান বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, ভেড়া অত্যন্ত নিম্নমানের খাদ্য গ্রহণ করে তা উন্নতমানের প্রোটিনে পরিণত করে। এছাড়া ভেড়ার মাংসে রয়েছে তুলনামূলক বেশি কপার, ফসফরাস, সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম, ভিটামিন এ, ই এবং সি যা এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর এই এন্টিঅক্সিডেন্ট শিরা ও ধমনিতে কোলেস্টেরল জমাট হতে বাধা প্রদান করে। কিন্তু সঠিক প্রচারণার অভাবে দেশে ভেড়া পালন আজ বিলুপ্তির পথে। জনগণের মাঝে যদি এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা যায়, তাহলে মানুষ ভেড়ার মাংস খেতে আগ্রহী হবে। সেই সাথে ভেড়ার মাংস প্রাণীজ আমিষের ঘাটতি পূরণে বড় অবদান রাখবে।
পশুপালন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসির সাবেক অধ্যাপক ড. এস এম বুলবুল। এছাড়াও সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক খন্দকার, পশু প্রজনন এবং কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার। এছাড়াও সেমিনারে অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ ঢাকা টাইমস