হাঁস পালনের মাধ্যমে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের রোশন শিমুলবাড়ী গ্রামের জেসমিন নাহার ময়না। ময়নার এমন সাফল্যে এলাকার এখন অনেকেই হাঁস পালনে ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক নারী উদ্যোক্তা।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি বিভিন্ন প্রজাতির ৪২০টি হাঁসের বাচ্চা দিয়েই বাণিজ্যিকভাবে হাঁস পালনের যাত্রা শুরু করেন জেসমিন। ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যে এক দিনের ৪২০টি হাঁসের বাচ্চা ও খামার তৈরিতে ঘর নির্মাণ, মাটি কাটাসহ প্রায় এক লাখ টাকা। ১ লাখ ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা খরচ করেই হাঁসের খামারের যাত্রা শুরু করেন তিনি। এর আগে তিনি হাঁস ও হাঁসের ডিম বিক্রি করে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করেছেন।
ময়না বলেন, বর্তমানে খামারে ১০টি রাজ হাঁস, ১৫টি চীনা হাঁস, ১০টি বেইজিং হাঁস, ১৫টি রুপালি হাঁস, ১০০টি নতুন জাতের কাকলি হাঁস রয়েছে। এই হাঁসগুলো প্রতিনিয়ত ডিম দিচ্ছে। এ ছাড়া তিনি হাঁস বিক্রির টাকায় ৪০টি কবুতর ও ৫০০টি লেয়ার মুরগির বাচ্চা নতুন করে পালন করছি।
তিনি আরও বলেন, হাঁস ও হাঁসের ডিম বিক্রি করেই ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করেছি। আয়ের টাকায় অন্যান্য প্রজেক্ট যেমন গরু-ছাগল, মৎস্য, পোলট্রি ও কবুতর বাড়াচ্ছি।
জেসমিন নাহার ময়নার স্বামী সামসুল হক জানান, হাঁস পালনে ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। সে সংসার দেখাশোনার পাশাপাশি হাঁস-মুরগি পালনে কঠোর পরিশ্রম করছেন- এটা আমার কাছে খুবই আনন্দের।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ময়না একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি এ পর্যন্ত ২ থেকে ৩ লাখ টাকার হাঁস ও ডিম বিক্রি করেছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ভেকসিন, ওষুধসহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।