ঢাকার বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম অনেকটাই কমে গেছে। এখন প্রতি কেজি মুরগি ১৮০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। যে মুরগির দর গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ২০০ টাকা পর্যন্ত ছিল।
আবার কোনো কোনো বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানি মুরগির দামও কেজিপ্রতি প্রায় ২০ টাকা কমে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর রামপুরা বাজারে বেলা ১১টার দিকে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। আর সোনালি মুরগির দাম চাওয়া হচ্ছিল প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। তবে দরদাম করে আরও ৫-১০ টাকা কমিয়ে কিনছেন অনেকে।
অন্যদিকে, কারওয়ান বাজারে দর আরেকটু কম। প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির সরবরাহ বেড়েছে অন্যদিকে, অবরোধের কারণে কমেছে চাহিদা। এখন সামাজিক অনুষ্ঠান কমে যাওয়ায় মুরগির চাহিদা কমেছে। সে জন্য দাম নিম্নমুখী।
কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা ছামেদুল হক বলেন, অবরোধে কোনো অনুষ্ঠান নেই, মানুষ নেই। বিক্রি অনেক কমে গেছে। যে কারণে দাম কমছে।
তিনি বলেন, বছর শেষে নানা অনুষ্ঠান ও শীতে মাংসের চাহিদা বাড়ে। সেজন্য খামারিরা আগে থেকে এ সময়কে কেন্দ্র করে মুরগি পালন করেছে। সেটা বাজারে আসছে। কিন্তু এ অবরোধ সব শেষ করে দিয়েছে।
অন্যদিকে, টিসিবি বলছে, বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬৫ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের থেকে প্রতিকেজি ১০ টাকা কম। আর মাসের ব্যবধানে ২৫ টাকা কমেছে।
রামপুরা বাজারের মুরগি বিক্রেতা এরশাদ বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কমেছে বলে তারা খুচরায় কম দামে বিক্রি করতে পারছেন। বাজারে দাম কম থাকলে তাদের বেচাকেনা ভালো হয়।
আমদানি শুরু হওয়ার পর থেকে ফার্মের ডিমের দাম এখন নিম্নমুখী। বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম প্রতি ডজন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে পাড়া মহল্লার দোকানে এখনও ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছিল।