নড়াইলের মৎসজীবীদের কাছে এতোদিন মাছের আঁশের স্থান ছিলো ডাস্টবিন। তবে বর্তমানে সেই উচ্ছিষ্ট মাছের আঁশই তাদের বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। বাজারে খুচরা মাছ বেচার পাশাপাশি আঁশ বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী ব্যবসায়ী এ আঁশ কিনে নিয়ে রপ্তানি করছেন বিদেশে।
মাছে-ভাতে বাঙালি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের মানুষের কাছে মাছ জনপ্রিয় হলেও, মাছের আঁশ সবসময় ছিলো উচ্ছিষ্ট। তবে নড়াইলে সেই মাছের আঁশ রোদে শুকিয়ে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এসে পাইকারি দামে কিনে নিয়ে যায়। জেলার প্রায় প্রতিটি বাজারে এখন মাছের আঁশ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
নড়াইলের রুপগঞ্জ মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আঁশগুলো পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকানোর পর বিক্রির উপযোগী করা হয়। ঢাকার পাইকারী ক্রেতার কাছে প্রতি কেজি আঁশ ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
কসমেটিক্সের কাচামাল হিসেবে ব্যবহার হওয়ার কারণে দিনদিন মাছের আঁশের কদর বাড়ছে বলে জানালেন এই ব্যবসায়ী।
এ খাতে সংশ্লিষ্টদের বিসিক সবসময় সহযোগীতা করবেন বলে জানালেন নড়াইলের বিসিক এর উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোঃ সোলায়মান হোসেন ।মানুষের ফেলে দেয়া এসব মাছের আঁশ প্রক্রিয়াজাত করার পর চলে যাচ্ছে জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বিভিন্ন দেশে।
সূত্র: ctgtimes.com