দেখতে সাধারণ মাছের মতো হলেও কালো পোপাকে (পোয়া) বলা হয় ‘সামুদ্রিক সোনা’। আর সেই দুর্লভ মাছের ঝাঁক এসে ধরা পড়েছে কয়েকজন হতদরিদ্র জেলের জালে। দশটি বিশটি নয় ৩০০ বিশালাকার কালো পোয়া ধরা পড়েছে তাদের জালে। এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের করাচির উপকূলীয় গ্রাম খারো চানের কয়েক জন জেলের জীবনে। কেটি বন্দরের কাছে সমুদ্রে মাছ ধরার সময় এমনটি ঘটেছে। নিজেদের নিরাপত্তার ভয়ে জেলেরা এসব মাছের মোট মূল্য প্রকাশ করেননি
এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের করাচির উপকূলীয় গ্রাম খারো চানের কয়েক জন জেলের জীবনে। কেটি বন্দরের কাছে সমুদ্রে মাছ ধরার সময় এমনটি ঘটেছে। নিজেদের নিরাপত্তার ভয়ে জেলেরা এসব মাছের মোট মূল্য প্রকাশ করেননি। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
বাজারে কালো পোপা বা কালো পোয়ার দাম আকাশচুম্বি। সামুদ্রিক এই মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস যার ইংরেজি নাম ব্ল্যাকস্পটেড ক্রোকার। এটি মূলত ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় পাওয়া যায়।
কালো পোপাকে ‘সমুদ্রের সোনা’ বলা হয় মূলত এর বায়ুথলি বা পটকার জন্য। এদের বায়ুথলি অনেক চড়া দামে বিক্রি হয়। এর বায়ুথলি সাধারণত হংকং, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হয়, যা থেকে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা ও আইসিনগ্লাস তৈরি করা হয়। তবে পুরুষ মাছের বায়ুথলির দাম স্ত্রী মাছের তুলনায় বেশি। এ জন্যই কালো পোপাকে সি গোল্ড বা সামুদ্রিক সোনা বলা হয়। চীনে এই মাছের শুকনো পটকার কেজি বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ডলারে।
সাধারণত, ভারতের পশ্চিম উপকূলে শীত মৌসুমে এই মাছ জেলেদের জালে বেশি ধরা পড়ে। এর চামড়া থেকে জেলাটিন তৈরি করা হয়। এই প্রজাতির মাছ সর্বোচ্চ দেড় মিটার লম্বা ও ওজনে ৪৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
সূত্র. চ্যানেল ২৪