রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে নতুন কৌশলে জেলেরা অবাধে শুরু করেছে মাছ ধরা। এই চায়না নামের দুয়ারীতে রেনুসহ সবকিছুই ছেকে জেলেরা ধরেন মাছ। মৎস্য সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন এই নতুন পদ্ধিতে জাল ব্যবহারে ভবিষ্যতে দেশীয় প্রজাতির মাছ চরম অস্তিত্ব সংকটে পড়বে দেশে।
বাংলাদেশ সরকার দেশে কারেন্ট জাল ব্যবহার বন্ধে সরকার ও মৎস্য অধিদপ্তর বিভাগ যখন হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনি দেশের মৎস্য সম্পদকে ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে জেলেরা পদ্মা নদীতে নির্বিচারে অধিক মাছ শিকারের আশায় চায়না দুয়ারী নামের বিশেষ ফাঁদ ব্যবহার করে মাছ শিকার করছে। এই ধরনের ক্ষতিকর ফাঁদ ব্যবহার বন্ধে মৎস্য বিভাগের কোনো আইন না থাকায় মৎস্য বিভাগও নিতে পরছে না কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। তবে মৎস্য আইনের বিভিন্ন ধারা উপধারা প্রয়োগ করে মৎস্য বিভাগ নিয়মিত নদীতে অভিযান পরিচালনা করছে।
সরেজমিনে রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদারবাজার, সোনাকান্দর, বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা চরকাঠুরিয়া পদ্মানদীর এলাকায় নদীতে গিয়ে দেখা যায় অসংখ্য ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা নদীর তীরের দিকে নোঙর করে আছে। দেখে বোঝার উপায় নেই, কি কারণে নৌকাগুলো অলস পড়ে আছে। একটু খোঁজ নিতেই জানা গেল, এসব নৌকা মাছের বংশ ধ্বংসকারী ‘চায়না দোয়ারী’ নামের এক ধরনের ফাঁদ ফেলে বসে আছে জেলেরা।সূত্রঃআমাদের সময়. কম