মজুদ পূর্ববর্তী ব্যবস্থাপনাঃ
• আগাছা পরিষ্কার, পাড় ও তলা মেরামত।
• রাক্ষুসে ও অবাঞ্চিত মাছ দূরীকরণ (রোটেননঃ 9.1% শক্তির 16 -18 গ্রাম/ফুট /শতাংশ, সেচ দিয়ে, জাল টেনে)।
• চুন প্রয়োগ- সাধারনত 1কেজি/শতাংশ।
• সার প্রয়োগ- চুন প্রয়োগের 5/7দিন পর ইউরিয়া- 150-200 গ্রাম/শতাংশ, টিএসপি 50-75 গ্রাম/শতাংশ।
• আশ্রয়স্থল স্থাপন – প্রতি শতকে 2/3টি আশ্রয়স্থল (শুকনো নারিকেলের ডাল, প্লাস্টিকের পাইপ ইত্যাদি)।
মজুদকালীন ব্যবস্থাপনাঃ
• প্রতিশতকে 3-5 ইঞ্চি সাইজের কার্প জাতীয় মাছ 40-50টি এবং গলদা চিংড়ি 10-15টিহারে মজুদ করতে হবে।
• 10 লিটার পানিতে 1মুঠ লবণ দিয়ে 10-15সেকেন্ড রেখে পোনা শোধন করে নিতে হবে।
• পোনা ছাড়ার পূর্বে পুকুরের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।
মজুদ পরবর্তীঃ
• সম্পুরক খাদ্য প্রয়োগঃ সাধারণত মাছের ওজনের 3-5% হারে ।
• প্রতিদিন নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে 2বার খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে।
• খাদ্য তৈরির সূত্র (নমুনা): ফিশমিল 20%, সয়াবিন 15%, সরিষার খৈল 20%, কুড়া 35%, আটা 8%, ভিটামিন প্রিমিক্ম 2%।
• সার প্রয়োগঃ প্রতি সপ্তাহে শতাংশ প্রতি 35 গ্রাম ইউরিয়া, 20গ্রাম টিএসপি
• নমুনায়নঃ প্রতিমাসে 1বার জাল টেনে নমুনায়ন করতে হবে। মাছের বৃদ্ধির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
• আংশিক আহরনঃ 5/6 মাস পর মাছ আংশিক আহরণ এবং পূন:মজুদ করতে হবে
• সম্পূর্ন আহরণ: ফাল্গুন/চৈত্র মাসে মাছ সম্পূর্ণ আহরন করতে হবে।
• আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষন করতে হবে।
বিঃদ্রঃ- চাষ পদ্ধতি, মাটি ও পানির বিভিন্ন ভৌত রাসায়নিক গুনাবলীর উপর ভিত্তি করে পরিমাপসমূহ কমবেশী হতে পারে।
সূত্রঃ মৎস্য পরামর্শ মোবাইল অ্যাপস।