জাকিয়া সুলতানা:
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রধানত কৃষির উপর নির্ভরশীল এবং পশুসম্পদ একটি গ্রামীণ অর্থনীতির অপরিহার্য উপাদান। দেশের জনসংখ্যার ৮৪.৪% গ্রামাঞ্চলে বসবাস করছে । গরুর খামার কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধি আনয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।গবাদি পশু পালন এদেশের প্রতিষ্ঠিত সবচেয়ে প্রাচীন পেশা। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ ব্যবসায়ে সাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এমনি একজন সফল খামারী সাভারের দীন ইসলাম। যার খামারে বর্তমানে ৭৫ টি গরু রয়েছে।
সাধারণত একজন খামারী তার দীর্ঘদিনের খামার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন লালন করে।এটি মূলত খামারীর লালিত স্বপ্নের প্রতিফলন।অনেক ভাঙ্গা গড়া ও সম্ভাব্য লাভের প্রত্যাশায় খামারী একটি খামার স্থাপন করেন।খামার প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে থাকে তার অন্তনির্হিত স্বপ্ন ও ইচ্ছা।দীন ইসলাম একজন সফল ও সাবলম্বী খামারী। তিনি উক্ত খামারটি শুরু করেছিলেন ১৯৯৯ সালে।প্রথমে তিনি ৭ টি গরু নিয়ে তার খামারটি শুরু করেন।বর্তমানে এই খামারে ৭৫ টি গরু রয়েছে।প্রতিদিন খামার হতে ৭৫০ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হয়।দিনে ২ বার দুধ দহন করা হয়ে থাকে।তার এই খামারে ১১ জন কর্মী রয়েছে। যারা তাদের অক্লান্ত প্ররিশ্রমের মাধ্যমে খামারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকটি নিশ্চিত করেন।খামারটিতে গরুর খাবার হিসেবে প্রধানত উন্নত জাতের ঘাস দেওয়া হয়।এছাড়াও খড়,ভূষি,পানি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের আবহাওয়া গবাদি পশু পালনের জন্য খুবই উপযোগী।বেকার যুবকরা অন্ধকারে নিমজ্জিত না হয়ে গবাদি পশু পালন কওে আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে।দীন ইসলাম আজ তার পরিবার নিয়ে সুখী জীবন গড়ে তুলেছেন। তার সাথে আরও ১১ জন কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
দীন ইসলাম জানিয়েছেন তার এ খামারের বিভিন্ন সমস্যায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস হতে অনেক সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি।গরুর যে কোন অসুস্থায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারের দারস্থ হন তিনি।সর্বশেষে তিনি বেকারদেও এ ধরনের খামার তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন।এতে কওে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন সম্ভব।
প্রতিবেদনকারীঃ জাকিয়া সুলতানা,কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,ঢাকা।