ব্রয়লারের বাচ্চার শারীরিক বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় যত্ন ও পরিচর্যা কেমন হবে সে বিষয়ে পোলট্রি খামারিদের সঠিক ধারণা থাকা দরকার। বর্তমান সময়ে দেশে ব্যাপকহারে লোকজন খামারে মুরগি পালন করছেন। খামারে পালন করা মুরগিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ব্রয়লার মুরগি। আসুন আজকের এ লেখায় আমরা জেনে নিব ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় যত্ন ও পরিচর্যা সম্পর্কে-
ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় যত্ন ও পরিচর্যাঃ
ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য ঘরটা এমন হওয়া দরকার যেন সেখানে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চা তার দরকারি জিনিস পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়। এখানে বাচ্চার প্রাথমিক দরকার তাপ। ইংরেজীতে জায়গাটা বা ঘরটাকে বলা হয় ব্রডিং ইউনিট। ৮ সপ্তাহ পরে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাচ্চা পালন ঘরে। এখানে বাচ্চা থাকবে ৮-২০ সপ্তাহ পর্যন্ত। এখন বাচ্চারা বেশ বড় হয়ে গেছে।
ব্রয়লার মুরগি ৮ সপ্তাহ পরে যায় বিক্রির জায়গায়। আর বাচ্চা মুরগি বাচ্চা পালন ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে বাচ্চা মুরগি যায় পাকাপাকিভাবে ডিমপাড়া ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে মুরগি পালন করার জন্য খাচাও অনেকে ব্যবহার করেন। এখানে ডিম দেওয়া মুরগি ৭৮-৮০ সপ্তাহ থাকে। এরপরেই মুরগি বাজারে মাংস হয়ে বিক্রি হতে চলে যায়।
একদিনের মুরগির বাচ্চাকে ২ ভাবে বড় করা যায়। যেমন-
১। স্বাভাবিক ভাবে।
২। কৃত্রিম ভাবে।
বাচ্চা পালনে বিস্তৃত পরিসরে যাবার আগে এটা জানা দরকার যে কৃত্রিমভাবে ডিম ফুটিয়ে যেসব বাচ্চা তৈরি করা হয়েছে তাদের কৃত্রিমভাবে বড় করা উচিত। স্বাভাবিকভাবে ডিম ফোটাবার কারণও ছিল অনেক। আগে খাবার ডিম হিসেবে মুরগি-মোরগ পালন করা হত।
মুরগির খাবার এমনভাবে দিতে হবে যাতে বাচ্চা মুরগি সেখানে মুখ দিতে না পারে। বাচ্চা এবং ধাত্রী মায়ের জন্য প্রচুর পরিষ্কার ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিচর্যাসমূহঃ
খাঁচা বা বাচ্চাদের আশ্রয় স্থান রীতিমত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং কীটনাশক ওষুধ দিয়ে উকুন, মাইট এবং টিক প্রভূতি রক্তচোষা পরজীবী কীটদের ধ্বংস করতে হবে। বাচ্চা যেখানে চরে বেড়াবে সে জায়গাটা জাল দিয়ে ঘেরা থাকবে। চরে বেড়াবার জায়গাটা যেন ইদুর বেড়ালে নষ্ট করে না দেয়।
প্রথম সপ্তাহে রোগের জন্য টিকা দিতে হবে ও প্রথম সপ্তাহেই ঠোট ছেটে দিতে হবে। বাচ্চাদের বয়স ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ হলে মুরগি বসন্ত এবং রানীক্ষেত রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদান করতে হবে।