প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ রক্ষায় গতকাল বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে সাগর ও নদীতে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা সামনে রেখে গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগেই সাগর-নদী থেকে জাল নিয়ে ঘরে ফেরেন অধিকাংশ জেলে। গতকাল কিছু এলাকায় মাইকিং করে বিশেষ ছাড়ে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়।
সীতাকুণ্ড
নিষেধাজ্ঞা তাই বিকেলের আগেই জাল তুলে সন্দ্বীপ উপকূলের বেড়িবাঁধে শুকাতে দিতে দেখা যায় স্থানীয় জেলেদের। পরে জাল নিয়ে ঘরে ফেরেন তাঁরা। জেলেরা জানান, এ বছর ইলিশ কম ধরা পড়েছে, তবে দাম বেশি থাকায় লোকসান হয়নি।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার বঙ্গোপসাগরের মোহনা এবং সন্দ্বীপ চ্যানেলের সীতাকুণ্ড অংশে ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ পাওয়া গেছে। গত বছর ১ হাজার ৪৫৬ মেট্রিক টন ইলিশ পাওয়া গিয়েছিল।
নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখে উপজেলার বৃহত্তম মাছ বাজার মরিয়মনগরের চৌমুহনীতে মাইকিং করে বিশেষ ছাড়ে মাছ বিক্রি করতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। গতকাল রাত আটটার দিকে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছ কিনতে ক্রেতার ভিড় জমেছে।
মাছ বিক্রেতা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ৫০০ কেজির মতো ইলিশ মাছ মজুত রয়েছে। তাই আগের দিনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে মাছ বিক্রি করছি।’ উপজেলার বেতাগী থেকে আসা ক্রেতা মো. সেলিম বলেন, ‘এত দিন দামের কারণে ইলিশ কিনতে পারিনি। দাম কিছুটা কমার খবরে বাজারে এসেছি।’
সোনাগাজী
শেষ দিনে নদী ও সাগরে গিয়ে মাছ কম পেয়ে অনেকটা হতাশ হয়ে ফিরে আসেন জেলেরা। তবে অগ্রিম সহায়তার চাল পেয়ে খুশি হন জেলেদের অনেকে। গতকাল সকালে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উপজেলার চর খোন্দকার জেলেপাড়ায় জেলেদের নিয়ে সচেতনতা সভা করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই চারটি ইউনিয়নে ইলিশ শিকারি ২৫০টি জেলে পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।