জেলে ভাইদের মাছ ধরার ব্যবহৃত জাল সম্পর্কে যে বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
আইন অনুযায়ী দেশে মাছ ধরার যেসব জালের অনুমোদন রয়েছে সেগুলোতে ‘মেস সাইজ’ তথা জালের ফাঁসের একটি গিঁট থেকে আরেক গিঁটের দূরত্ব হতে হয় ন্যূনতম ৬.৫ সেন্টিমিটার। ‘মেস সাইজ’ তথা ফাঁসের আকার এর চেয়ে ছোট হলে সে জাল আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ।
অবৈধ জাল ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব
জাটকাসহ অন্যান্য মাছের পোনা নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে।
ইলিশসহ অন্যান্য মাছের প্রজনন, বিচরণ ও চারণ ক্ষেত্র নষ্ট হচ্ছে।
পানির প্রবাহ ও নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে।
ইলিশের পরিভ্রমণ পথ পরিবর্তিত ও বিনষ্ট হচ্ছে।
সর্বোপরি ইলিশসহ অন্যান্য মাছের কাঙ্খিত উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে
মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ধারা-৩ এর উপধারা-৩ এবং এস, আর, ও নং ৯৩ আইন/২০১৩ অনুযায়ী বেহুন্দী জাল, কারেন্ট জাল, চরঘেরা জাল, মশারী জাল, পাই জাল, চায়না দোয়ারী জালের ব্যবহার। নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ
আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে ০১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ০২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে
খালেক হাসান
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, কুমিল্লা।