ঢাকা,২৪ জানুয়ারি ২০২৪(বুধবার)
কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধির সাথে যারা জড়িত তাদের কোন অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । আজ (২৪ জানুয়ারি) বুধবার বেলা ১২.০০ ঘটিকায় মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে “মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ হলো নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া,কাপড়হীনকে কাপড় দেওয়া এবং মৌলিক জিনিসগুলো সরবরাহ করা। এছাড়া তিনি আরো বলেন, মানুষের শান্তি, স্বস্তি ও জানমালের নিরাপত্তা দিয়েই দেশ চালাবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরিত হবে।
কর্মশালায় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্যই ইলিশ উৎপাদন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বে ইলিশ মানেই বাংলাদেশের ইলিশ । ইলিশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জায়গা। এছাড়া তিনি বলেন, দাদন যোগানদাতা গোষ্ঠী হলো সমাজের ক্যান্সার। দাদন যোগানদাতা গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিটি গঠন করতে হবে। তাছাড়া মৎস্যজীবীদের সুনিপুণ তালিকা ও সরকারি সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি বয়কট করারও আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি অবৈধ জাল জমাদানের ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদি প্রচার এবং মৎস্যজীবী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে সামাজিক ক্যাম্পেইন গড়ে তুলার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, মো. আব্দুল কাইয়ুম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান জনাব মাসুদ আরা মমি। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন, নৌ- পুলিশের ডিআইজি, মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, ড. মো. জুলফিকার আলী ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন-এর চেয়ারম্যান, জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী লীগ এবং বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন ও সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব, মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবৈধ জাল উৎপাদনের জায়গা চিহ্নিত করে এর উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক ও প্রচার কার্যক্রম বৃদ্ধি করে জনসম্পৃক্ততা আরো বাড়াতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম একটি খাত হলো মৎস্য সেক্টর তথা ইলিশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ইলিশের উৎপাদন ২০০১ সালের তুলনায় বর্তমানে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সকল দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ ও মন্ত্রণালয়ের উর্ব্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।
মো. সামছুল আলম
গণযোগাযোগ কর্মকর্তা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
০১৭৪৬ ৭৪৯০২০