বিগত কয়েক দশকে দেশে মাছচাষে ব্যাপক সফলতা এসেছে, চাষের অধীনে মাছ উৎপাদনে সারা বিশে^র মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫ম স্থান অব্যাহত রয়েছে। দেশের চাষের অধীনে যে মাছ উৎপাদন হয় তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত কার্পজাতীয় মাছই বেশি (প্রায় ৩০%) কার্পজাতীয় মাছের মধ্যে রুই মাছের অবস্থান অন্যতম। বর্তমান সময়ে পুকুরে রুই মাছকে প্রাধান্য দিয়ে কার্পের মিশ্র চাষের সম্পসারণ ঘটেছে সারা দেশব্যাপী। প্রধানত সরকারি বেসরকারি হ্যাচারিতে উৎপাদিত পোনার ওপর নির্ভর করে এ চাষ পদ্ধতি বিকশিত হয়েছে। কিন্তু নানাবিধ করণে বিশেষ করে রুই মাছের ব্রুডের কৌলিতাত্ত্বিক অবক্ষয়, অন্তঃপ্রজনন, হ্যাচারিসমূহের অব্যবস্থাপনার কারণে রুই মাছের বর্ধন আগের তুলনায় কমে গেছে। যেহেতু পুকুরসমূহে রুই মাছকে প্রাধান্য দিয়ে (বিঘাতে ৩০০টি পোনা মজুদের মধ্যে ২০০টিই রুই) মাছচাষ হচ্ছে এ জন্য রুই মাছের কৌলিতাত্ত্বিক উন্নয়ন সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট দীর্ঘ ১০ বছর গবেষণা করে ২০২১ সালে সুবর্ণ রুই নামে একটি জাত উন্নয়ন করে সম্প্রসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যা মাছচাষিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং রুইজাতীয় মাছের ব্যাপক সম্ভাবনার দার উদঘাটন হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন। ইতোমধ্যে এ মাছ সারা দেশে চাষিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার জন্য ৮ বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের সরকারি ১০টি খামারে মোট ২০,০০০টি পোনা প্রদান করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ১০০ কেজি সুবর্ণ রুই মাছের রেণু বেসরকারি হ্যাচারি ও মাছচাষিদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে। প্রথমিক ফলাফলে মাছচাষিদের মাঝে এ মাছের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বছর (২০২৪) হতে সরকারি বেসরকারি হ্যাচারিতে এ মাছের পোনা উৎপাদন শুরু হবে। এ মাছের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, সুবিধা ও এর চাষ পদ্ধতির বিষয়ে একটি ধারণা দেবার জন্য আজকের এ প্রয়াশ।
সুবর্ণ রুই মাছের পরিচিতি
তিনটি পৃথক নদী উৎস (পদ্মা, মেঘনা এবং হালদা) থেকে রেণু সংগ্রহ করে সেখান থেকে ব্রুড উৎপাদন করে পরস্পর ক্রস ব্রিডিং ও নির্বাচিত প্রজনন পদ্ধতিতে অনুসরণ করে ৪র্থ প্রজন্মকে (৪ঃয এবহবৎধঃরড়হ) সুবর্ণ রুই হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ রুই মাছ থেকে এ মাছের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : এ মাছ অন্তঃপ্রজনন মুক্ত; কৌলিতাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ (এবহবঃরপধষষু ঐরময ঠধৎরধনষব); গায়ের রং আকর্ষণীয়, লেজ ও পাখনার রং লালচে গোলাপি; বর্ধনহার ২০% এর বেশি; তুলনামূলক বেশ শক্তিশালী; নার্সারিতে পোনার বাঁচার হার তুলনামূলক বেশি; পুকুর ও ঘেরে চাষ করা যায়।
বাংলাদেশে মাছের উৎপাদনে একক প্রজাতি হিসাবে রুই মাছের অবস্থান
মৎস্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রকাশনা (এফআরএসএস ২০২০-২১) অনুযায়ী দেশে মাছের মোট উৎপাদন ৪৬.২১ লক্ষ মেট্রিক টন। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ জলাশয় (নদী, বিল, প্লাবনভূমি, পুকুর, বাঁওড়, চিংড়ি ঘের, পেন ইত্যাদি) হতে উৎপাদিত মাছের পরিমাণ ৩৯.৪০ লক্ষ মে.টন (৮৫.২৬%), যার মধ্যে প্রজাতি হিসেবে রুই মাছের অবদান ৪.৪৬ লক্ষ মে.টন (১১.৩২%) এবং একক প্রজাতি হিসবে অবস্থান শীর্ষে। অপরদিকে চাষের পুকুরে উৎপাদিত মাছের মোট পরিমাণ ২০.৯১ লক্ষ মে.টন, এর মধ্যে রুই মাছের অবদান ২.৯৪ লক্ষ মে.টন (১৪.১০%) এবং একক প্রজাতি হিসবে একইভাবে শীর্ষে অবস্থান (এফআরএসএস ২০২০-২১) করছে।
বাণিজ্যিকভাবে কার্পজাতীয় মাছের মিশ্রচাষে রুই মাছের অবস্থান
রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জসহ দেশের অনেক জেলাতে বর্তমান অগ্রসর মাছচাষিগণ বাণিজ্যিকভাবে কার্প মোটাতাজাকরণ পদ্ধতিতে বড় আকারের রুইজাতীয় মাছ উৎপাদিত করছেন, যা দেশের বড় বড় শহরের বাজারসমূহে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলা বিশেষ করে রাজশাহী জেলার পবা, পুটিয়া, দুর্গাপুর, মোহনপুর; নাটোর জেলার সিংড়া, গুরুদাশপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর; সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জে এবং নওগাঁ জেলার সদর, মান্দা উপজেলায় এ ধরনের বড় আকারের কার্পজাতীয় মাছের মিশ্রচাষ দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও স্বল্প পরিসরে হলেও এ পদ্ধতিতে মাছচাষ শুরু হয়েছে। বড় আকারের মাছ উৎপাদনের এ কৌশল এসব অঞ্চলে মাছচাষে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। উৎপাদিত বৃহৎ আকারের (৪-২০ কেজি) মাছ জীবন্ত অবস্থায় রাজধানী ঢাকার বাজারসহ দেশের অন্যান্য বৃহৎ শহরগুলোতে পৌঁছে যাচ্ছে। বড় আকারের মাছের চাহিদা সারা বছরই একই রকম থাকে এবং এর বাজারমূল্যও খুব বেশি উঠানামা করে না। ফলে কার্পজাতীয় মাছের এ ধরনের চাষপদ্ধতি দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটছে। এ মাছ চাষপদ্ধতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এ পদ্ধতি প্রকৃত পক্ষে রুই প্রধান মাছচাষ অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে রুই মাছের সংখ্যা মোট মজুদের প্রায় ৫০-৭০% । সাধারণত পুকুরে মাছের মজুদ ঘনত্ব চাষিভেদে বিভিন্ন রকম হয় (সারণি দ্রষ্টব্য)।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে চালু হয়েছে পৃথিবীর সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাছচাষ আইপিআরএস (ওহ-ঢ়ড়হফ জধপবধিু ঝুংঃবস)। এ পদ্ধতিতে অনেকগুলো প্রজাতির মাছচাষ করায় রুই মাছই সবদিক থেকে ব্যবসা সফল। ১০০% রুই মাছের একক চাষ করা হয়ে থাকে।
সুবর্ণ রুই মাছচাষে সফলতা পেতে করণীয়
অন্যান্য মাছ চাষের মতো সুবর্ণ রুই মাছ চাষের ক্ষেত্রে উত্তমভাবে পুকুর প্রস্তুত করে নি¤েœর বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
পোনা সংগ্রহ :
যেহেতু সুবর্ণ রুই মাছের বর্ধন সাধারণ রুই মাছের থেকে বেশি সে জন্য এ মাছের পোনা বিক্রয়ে বিক্রেতাগণ সাধারণ পোনাকে সুবর্ণ রুই বলে বিক্রয় করতে পারে। এ জন্য এ মাছের পোনা বিশ^স্ত উৎস থেকে যাচাই বাছাই করে সংগ্রহ করতে হবে।
পোনার আকার :
বর্তমান সময়ে সকলেই বড় আকারের মাছ উৎপাদন করতে চায়। এজন্য চেষ্টা করতে হবে ২০০ গ্রামের বড় আকারের সুস্থ সবল পোনা মজুদ করার। এ আকারের পোনার বাঁচার হার বেশি হয়ে থাকে। এ আকারের মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং স্বল্প সময়েই বাজারজাত করা যায়।
পোনার মজুদ ঘনত্ব :
মাছ চাষে মজুদ ঘনত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পুকুরে পোনার মজুদ ঘনত্ব চাষির মাছ চাষ পদ্ধতির ওপরই সাধারণত নির্ভর করে। তবে আগের টেবিলে যে মজুদ ঘনত্ব উল্লেখ করা হয়েছে তার যে কোন একটি মডেল অনুসরণ করার চেষ্টা করতে হবে।
মাছের খাদ্য প্রদান :
পুকুরে পোনা মজুদের পরের দিন হতে নিয়মিত খাবার দিতে হবে। মাছের মোট ওজনের ৩-৪% হারে প্রতি দিন খাবার দিতে হবে। মাছের খাদ্যে ২২-২৫% আমিষ থাকা প্রয়োজন। পুুকুরে মাছের বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন দুইবার (সকাল-বিকাল) মাছের সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে। সকাল ৯-১০ ঘটিকার মধ্যে একবার এবং বিকাল ৪-৫ ঘটিকার মধ্যে আর একবার। তবে দিনে একবার ডুবন্ত খাবার দিয়েও মাছ চাষ করা যেতে পারে। ডুবন্ত খাবার দুই রকম হতে পারে। বাজারের পিলেট খাবার এবং পুকুরের পাড়ে তৈরি ভিজা খাবার।
খাবার প্রয়োগ পদ্ধতি :
আগেই বলা হয়েছে রুই মাছ পানির মাঝের স্তরে বাস করে। এ জন্য খাবার প্রয়োগের সময় বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। অনেকেই এ বিষয়ে গতানুগতিক পদ্ধতি অনুসরণ করেন যা মাছের খাদ্যের সঠিক ব্যবহারের প্রতিবন্ধক। পুকুরে প্রদত্ত সমস্ত খাবার নির্ধারিত কয়েকটি স্থানে ভাগ করে দিতে হবে। খাবার প্রদানের ২-৩ ঘণ্টা পরে খাবার অবশিষ্ট আছে কি না পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী খাবার বাড়াতে বা কমাতে হবে।
খাদ্যে অনুপুষ্টি সংযোজন :
রুই মাছের চাহিদা ও দাম বেশি সুতরাং মাছের বর্ধন ভালো পাবার জন্য ৬-৭ দিন পরপর প্রতি কেজি খাদ্যে ১-২ গ্রাম ভিটামিন ও ১-২ গ্রাম লবণ এবং ফিশফিড সাপ্লিমেন্ট বা গাট-প্রোবায়োটিক ১-২ গ্রাম মিশ্রিত করে প্রয়োগ করা যেতে পারে। মাছের খাবারের সাথে বাড়তি ফিড এডিটিভস (এ্যামিনো এসিড) এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন প্রিমিক্স মিশিয়ে খাওয়ালে মাছের খাদ্যের পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষা করা যায়, খাদ্যের হজম বা পরিপাক ত্বরান্বিত হয় এবং খাদ্যের আত্তিকরণ বাড়িয়ে খাদ্যের মাংসে রূপান্তর হার (ঋববফ ঈড়হাবৎংরড়হ জধঃরড়-ঋঈজ) বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি এ সকল উপকরণ মাছের খাদ্য গ্রহণের রুচি বাড়িয়ে দেয় এবং পিলেট ও ভাসমান খাদ্যের পানিতে স্থায়িত্বকালও (ডধঃবৎ ঝঃধনরষরঃু) বাড়িয়ে দেয়। এভাবে অনুপুষ্টির অভাব পূরণ করা গেলে মাছের বর্ধন হার বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় ও মাছ ভালো থাকে।
সার প্রয়োগ :
পুকুরে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগের পাশাপশি প্রাকৃতিক খাবারের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধির জন্য পুকুরে নিয়মিত জৈব-অজৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। এসব প্রাকৃতিক খাবার মাছের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখা এবং মাছের মাংসের স্বাদও বৃদ্ধি করে। সাধারণত পুকুরে শতকে ১০০-১৫০ গ্রাম হারে ইউরিয়া ও টিএসপি সারপ্রয়োগ করতে হয়। জৈবসার হিসেবে সরিষার খৈল ব্যবহারই উত্তম। কারণ সরিষার খৈলে রুই মাছের পছন্দের জুপ্লাংটনের প্রাচুর্যতা বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়। তবে মনে রাখা দরকার যেসব পুকুরে নিয়মিত খাদ্য প্রয়োগ করা হয় সেসব পুকুরে ইউরিয়া সার কম দিতে হবে এবং যেসব পুকুরে নিয়মিত ভিজা খাবার প্রয়োগ করা হয় সেসব পুকুরে সাধারণত ইউরিয়া সার প্রয়োগ না করাই ভালো। কেবল টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে। কারণ এসব পুকুরে মাছের পায়খানা থেকে পর্যাপ্ত নাইট্রোজেন ঘটিত যৌগ পদার্থ নিয়মিত পুকুরের পানিতে যুক্ত হয়। ফলে অনেক সময় নাইট্রোজেনের এ প্রাচুর্যতা পুকুরে ফাইটোপ্লাংকটনের ব্লুম ঘটিয়ে পুকুরে অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পানি হালকা সবুজ বা হালকা বাদামি রঙ থাকা ভালো। পানি গাঢ় সবুজ হলে সার দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পুকুরের পানির রঙ এবং জুপ্লাংকটনের উপস্থিতি দেখে পুকুরে সার দেবার প্রয়োজন আছে কি না বুঝতে হবে। সরিষার খৈল ২৪ ঘণ্টা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে পুকুরে প্রয়োগের সময় ভালোভাবে গুলিয়ে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। বৃষ্টির দিনে সার প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। টিএসপি ব্যবহারের আগে ১০-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে গুলিয়ে নিতে হবে, দানাদার অবস্থায় টিএসপি সার পুকুরে ব্যবহার করা ঠিক নয়। সার প্রয়োগ ছাড়াও পুকুরে পর্যাপ্ত জুপ্লাংটন তৈরির জন্য ইস্ট মোলাসেস পদ্ধতিও অনুসরণ করা যেতে পারে।
পুকুরে চুন প্রয়োগ :
পুকুরের পানির পরিবেশ ভালো রাখার জন্য মাছচাষ চলাকালে প্রতি মাসে একবার বিঘাপ্রতি ৫-৬ কেজি চুন প্রয়োগ করতে হবে। পানির পিএইচ ৭.৫-৮.৫ বজায় রাখতে হবে। ক্ষারীয় পরিবেশে সারের কার্যকারিতা ভালো হয়। মাছ থাকা অবস্থায় পুকুরের পানিতে চুন ভিজানো মাছের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পুকুরে সকাল ৭-৮ ঘটিকার মধ্যে চুন প্রয়োগ করতে হবে। চুন অধিক সময় ধরে ভিজিয়ে রাখলে চুনের কার্যকারিতা কমে যায়। চুন প্রয়োগের আগে পুকুরের পানির পিএইচ অবশ্যই মেপে নিতে হবে। পিএইচ ৭ এর উপরে থাকলে পুকুরে চুন প্রয়োগের প্রয়োজন নাই। মেঘলা দিনে পুকুরে চুন প্রয়োগ না করাই ভালো।
মাছের বাজার দরের সাথে মাছের উৎপাদন খরচের সমন্বয় নাই বলে অনেক চাষিগণ মনে করেন। এমতাবস্থায় মাছ চাষে লাভবান হতে মাছের উন্নতজাতের কোনো বিকল্প নাই। রুই মাছ চাষের সাথে আমাদের মাছচাষিগণ আগে থেকেই পরিচিত। সুবর্ণ রুই মাছের পোনার প্রাপ্যতা সহজ করাই এখন সময়ের দাবি। আশা করা যায় চাষিরা এ মাছ চাষে বর্ধিত উৎপাদন পেয়ে অধিক লাভবান হবেন।
Copy from AIS
MD.ARAFATH HOSSAIN (Barishal).