বর্তমান সময়ে মাছ চাষে যে সমস্যা গুলো দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে পানির উপরের অংশে সর জমা কিংবা ভারী স্তর জমা। এটাকে আমরা সহজ ভাষায় বলি প্লাংক্টন। যা মাছের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু এই উপকারী প্লাংক্টন যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয় ঠিক তখনই তা কাল হয়ে যায়, যাকে বইয়ের ভাষায় এলগাল ব্লুম বলা হয়ে থাকে। এই এলগাল ব্লুম মূলত অধিক তাপমাত্রা, অধিক পুষ্টি পুকুর বা জলাশয়ে থাকিলে এর আধিক্য বেড়ে যায়। এই এল্গাল ব্লুম পুকুরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। মূলত এল্গাল ব্লুম হলে পুকুরের পানি দূর্গন্ধ হয়, মাছ খাবার ছেড়ে দেয়, অনেক সময় অক্সিজেনের অভাবে মাছ সকালে নিয়মিত জেগে উঠে এবং মারাও যায়। যা যেকোন চাষীর জন্য এক মারাত্মক ক্ষতি। এমতাবস্থায় অনেক ওষুধ প্রয়োগ করেও কোন কাজ হয় না। এই সমস্যা হওয়ার পিছনে মূল যে কারণ মাঠ থেকে লক্ষ্য করা যায় তাহলো মাছের স্তর ভিত্তিক অবিন্যাস, অর্থ্যাৎ প্রতি স্তরে সঠিক ভাবে মাছ না দেওয়া কিংবা কোন এক স্তরের মাছ অধিক দেওয়া। তারপর অধিক পুষ্টিকর ফিড প্রয়োজনের তুলনায় বেশি প্রয়োগ করা, যার অবশিষ্টাংশ এলগাল ব্লুম তৈরিতে সাহায্য করে। এর সমাধান হিসেবে যা করা যেতে পারে। প্রথমত বাহিরের খাবার বন্ধ রেখে সর গুলো হাত দিয়ে তুলে ফেলা, দ্বিতীয়ত কপার সালফেট ও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ব্যবহার করা এবং রেগুলার এরেশন অর্থাৎ অক্সিজেনের সাপ্লাই রাখা, এতে সরের স্তর গুলো অধিক অক্সিজেনের প্রভাবে সেল গুলো ভেঙ্গে যাবে। এহেন সমস্যায় চুন ব্যবহার করার পর গ্রিন ওয়াটার ( বিঘায় ১কেজি/৫ফুট) বা ব্লুমিক্স ( ১.৫ কেজি/৫ফুট) ব্যবহার করিলেও অনেক সময় ভাল ফল পাওয়া যায়।
ফাইটোপ্লা্ংটন ব্লুম মাছ চাষের জন্য ক্ষতিকর,ফাইটোপ্লাংটন ব্লুম নিয়ন্ত্রনের উপায়।
১৫৪
previous post