মাছ উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। গত তিন দশকে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ২৫ গুণ। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩য়, বদ্ধ জলাশয়ে অর্থাৎ চাষকৃত মাছে ৫ম, ইলিশে ১ম এবং তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ স্থানে রয়েছে।
মৎস্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। বর্তমানে জনপ্রতি প্রতিদিন ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম মাছ খেতে পারছে মানুষ।
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় বলে মনে করে মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তর। দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ মৎস্য খাতের অবদান। দেশের রপ্তানি আয়ের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ আসে মৎস্য উপখাত থেকে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ইলিশ উৎপাদনে এখন বিশ্বে রোল মডেল। বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ১২৫টি নদ-নদীতে পাওয়া যাচ্ছে ইলিশ মাছ। এ ছাড়া ইলিশ বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যা জাতির জন্য গৌরবের।
মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, এখন সরকারের লক্ষ্য নিরাপদ মাছ উৎপাদন। শুধু মাছের উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ ও পুষ্টিকর মাছ উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা ভোক্তার কাছে নিরাপদ মাছ পৌঁছে দিতে চাই। ফিরিয়ে আনতে চাই মাছে- ভাতে বাঙালির ঐতিহ্য।
সূত্রঃ 24livenewspaper.com