পাঙ্গাস মাছের খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও রোগ বালাই দমনে করণীয় যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো মৎস্য চাষিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার। আমাদের দেশের প্রাকৃতিক উৎসগুলোতে এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। তাই অনেকেই পুকুরে মাছ চাষ করছেন। এর মধ্যে পাঙ্গাস মাছ অন্যতম। আজকের এ লেখায় আমরা জেনে নিব পাঙ্গাস মাছের খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও রোগ বালাই দমনে করণীয় সম্পর্কে-
পাঙ্গাস মাছের খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও রোগ বালাই দমনে করণীয়ঃ
পুকুরে পাঙ্গাস মাছ চাষের জন্য ২৮% থেকে ৩০% প্রোটিন সমৃদ্ধ সূষম খাদ্য প্রয়োজন। কেউ যদি একক চাষ করে তাহলে তাঁকে অবশ্যই রেডি ফিড খাওয়াতে হবে। সেক্ষেত্রে সেটা ভাসমান খাবারও হতে পারে আবার পিলেট খাবারও হতে পারে।
যেহেতু পাঙাশ মাছ মাটির তলা থেকে খাবার খুজে খায় না, তাই একক চাষে হাতে তৈরী খাবার খাওয়ালে পানির প্যারামিটার নষ্ট হবে এতে কোন সন্দেহ নাই। যদি কার্পজাতীয় মাছের সাথে মিশ্রচাষ করা যায়, তাহলে হাতে তৈরী খাবারে চাষ করা যায়।
হাতে তৈরী খাদ্য মডেলঃ
১। ফিসমিল ২৫%
২। রেপসিড ২০%
৩। এ্যাংকর ২০%
৪। আটা ১০%
৫। অটোব্রান ২৫%
যদি রেপসিডের বদলে সয়ামিল দিতে পারেন তাহলে ফিসমিল ২০% দিলেও চলবে।
রোগ-বালাইঃ
তেলাপিয়া মাছকে রোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অবশ্যই ইনব্রিডিং মুক্ত পোনা উৎপাদনে হ্যাচারী গুলো কে কাজ করতে হবে, নতুন করে বড় জাতের ব্রুড মাছ সংগ্রহ করতে হবে, দক্ষ টেকনিশিয়ান নিয়োগ ও হ্যাচারীতে হাইজিন ও কোয়ালিটি মেইন্টেন করতে হবে।
যেহেতু পাঙাশ মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমেছে, তাই চাষ পদ্ধতি তে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে।
পুকুর প্রস্ততিতে অথবা চাষ কালিন সময়ে পুকুরে কোন ভাবে মুরগীর লিটার, সরাসরি গরুর গোবর, পশুর নাঁড়ি-ভুঁড়ি বা রক্ত প্রয়োগ করা যাবেনা।
অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ ছাড়া রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন, অতিরিক্ত কাঁদাযুক্ত পুকুরে পাঙাশ মাছ চাষ করবেন না।
রোগ-বালাই থেকে মাছকে রক্ষা করার জন্য পানির পরিবেশ ঠিক রাখুন। প্রয়োজনে খাবারের সাথে এনজাইম ও ভিটামিন সি ব্যবহার করুন, সূষম ঘনত্বে মাছ চাষ করুন, যতটুকু সম্ভব একক চাষ এড়িয়ে চলুন।
সূত্র. Akkbd.com