মাছ চাষের পাশাপাশি মুক্তা চাষ করে ব্যপক সফলতা পেয়েছেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের হাজিপাড়া গ্রামের জুলফিকার রহমান বাবলা। প্রথমদিকে মুক্তা চাষ করে লোকসানে পড়লেও বর্তমানে তিনি ব্যালক লাভবান হয়েছেন। তিনি একই পুকুরে মাছ ও মুক্তা চাষ করছেন। তার দেখাদেখি এলাকার এখন অনেম মাছ চাষি মুক্তা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
জানা যায় যে, ২০১৬ সালে ৩ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পরিসরে মুক্তা চাষ শুরু করেন বাবলা। স্থানীয়ভাবে দেশীয় প্রজাতির ঝিনুক সংগ্রহ করে বৈজ্ঞানিক উপায়ে আপারেশন করে পুকুরে ছেড়ে দেন। সাত আট মাসে মুক্তা সংগ্রহের উপযোগী হয়ে উঠে।বাবলা বলেন, শুরুর দিকে মাত্ ৬টি ঝিনুক দিয়ে যাত্রা শুরু করি। পরবর্তীতে সাফল্য পেলে একটু বড় আকারে ৬৫০টি ঝিনুক থেকে প্রথমবার প্রায় ৫০০টি ইমেজ মুক্তা উৎপাদন করতে সক্ষম হই। সেই যে শুরু আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এ পর্যন্ত ১৫ লাখ টাকার মুক্তা বিক্রি করেছেন বলেও তিনি জানান।তিনি আরও বলেন, বেকার সমস্যা সমাধানে মুক্তা চাষ হতে পারে উত্তম মাধ্যম। বেকার যুবকেরা সঠিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মুক্তা চাষ করে সফল হতে পারবে।সৈয়দপুর মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ডা. আজহার বলেন, বর্তমানে পুকুরে মাছের সাথে মুক্তা চাষ বেশ লাভজনক। দিন দিন মুক্তা চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। নতুনদের বিভিন্ন পরামর্শের পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জেলায় ২৭ জনের বেশি চাষি মুক্তা চাষে সাথে যুক্ত হয়েছেন।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।