ঢাকা জেলার কেরানীগন্জ উপজেলায় রাজিব ২০২১ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে ১টি সোনালি মুরগির খামার তৈরী করেন । প্রথম দিকে রাজিব ৫০০ মুরগি দিয়ে খামার শুরু করেন । ৫০০ মুরগি থেকে রাজিবের লাভ হয় ১,০০,০০০ টাকা। তিনি লাভের অংশ থেকে পরবতী সময়ে আরো ২টি খামার স্থাপন করেন । বর্তমানে রাজিবের খামার রয়েছে ৩টি এবং মুরগি আছে ২০০০ টি।
খামার স্থাপন সর্ম্পকে রাজিবকে বললে তিনি বলেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসে এমন জায়গা নিবাচন করতে হবে খামার স্থাপনের জন্য । তিনি আরো জানান কোলাহল মুক্ত স্থানে খামার স্থাপন করা ভালো ।
মুরগির বাচ্চার বিষয়ে জিগেস করা হলে রাজিব বলেন প্রথম ৭ দিন বাচ্চা কে বৈদ্যুতিক ভাল্প দিয়ে তাপ দিতে হয়। মুরগির খাবার পাএ পরিস্কার পরিছন্ন করতে হয় । বাচ্চা কে যথাসময়ে রানিক্ষেত ও কলেরা টিকা প্রদান করতে হয় । রাজিব জানান বাচ্চা যখন ছোট থাকে তখন ছোট আকারের ফিড এবং বড় হয়ে গেলে বড় আকারের ফিড খাওয়াতে হয়। খাবার পানির সাথে প্রতিদিন মেডিসিন যুক্ত পানি খাওয়াতে হয় ।
মুরগি বিক্রয় সম্পর্কে রাজিব বলেন ৬০-৭০ দিন বয়সে সোনালি মুরগি বিক্রয়যোগ্য হয় বলে তিনি জানান। খামারের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন তার খামারে দুই জন কর্মচারী মাসিক বেতন হারে কাজ করে থাকেন, যাদের মাসিক বেতন ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার টাকা)। খামারের ব্যয় সম্পর্কে তিনি বলেন- খাবার, মেডিসিন, কর্মচারীর বেতন বাবব তার মাসিব ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ টাকা) ব্যয় করতে হয়। খামারের সকল প্রকার ব্যয় বাদ দিয়ে রাজিবের আয় হয় ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা)।
নতুন তরুণ উদ্যোক্তা সম্পর্কে রাজিব বলেন, কেউ যদি মুরগীর খামার তৈরি করেন তাহলে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং বেকার সমস্যা সমাধান হবে। রাজিব আরো জানান খামারে মুরগীর রোগ হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন। এবং প্রাণিসম্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগীতা করেন। এছাড়াও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা এর পক্ষ থেকে গাভী পালন, ছাগল পালন, সবুজ ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরন, মুরগী পালনের লিফলেট, ফোল্ডার বিনামূল্যে প্রদান করা হয় এবং পরামর্শ প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারী
মো. খাদেমুল ইসলাম
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা।