০৬/০৩/২০২৪ খ্রি.তারিখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা থেকে ২ জন কর্মচারী মৎস্য খামার পরিদর্শন করার জন্য ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় অবস্থিত বনগাঁও গ্রামে একটি মৎস্য খামার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে খামারিকে পরামর্শ প্রদান করেন মো. খাদেমুল ইসলাম, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক এবং খামারির স্থিরচিএ ও ভিডিও ধারণ করেন মো. ফাহিম রহমান রনি, অডিও ভিজ্যুয়াল ইউনিট অপারেটর।
২০২০ সালে পৈত্রিক সম্পত্তির ৩০ শতাংস জমিতে মাছ চাষ শুরু করেছিলেন মো. সাইফুল হক। তিনি সাভার উপজেলার বনগাঁও গ্রামের মোশারফ হোসেনের পুত্র। মাছ চাষে সফলতা পেয়ে বর্তমানে ৬০ শতাংস জমিতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছেন তিনি। মৎস্য চাষি মো. সাইফুল হক জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানলাম, মাছ চাষ করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছেন। তখন পৈত্রিক সম্পত্তির ৩০ শতাংস জমিতে পরিত্যক্ত পুকুরে পরীক্ষামূলকভাবে মাছ চাষ শুরু করি। এতে বেশ লাভবান হওয়ায় মাছ চাষের পরিমাণও বৃদ্ধি করতে থাকি।
এরপর যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ২০২১ সালে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ করতে থাকি।
এখন মৃগেল, ব্রিকেট, পাবদা, তেলাপিয়া, রুই, কাতলসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে মৎস্য খামারে।
খাবার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সাইফুল হক জানান সকাল এবং বিকেল ২ বেলা (ফিড) প্রয়োগ করে থাকেন।
মাছের পোনা সংগ্রহের ব্যাপারে তিনি জানান সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার থেকে সুস্থ সবল পোনা সংগ্রহ করে তার পুকুরে অবমুক্ত করেন ।
খামারের ব্যয় সম্পর্কে সাইফুল হক জানান খাবার ,মেডিসিন, এবং ১ জন কর্মচারীর বেতন সহ তার বাৎসরিক ব্যয় হয় ৩,৭০,০০০ টাকা। খামারের আয় সম্পর্কে তিনি বলেন সব ব্যয় বাদ দিয়ে তার বাৎসরিক আয় হয় ১,৪০,০০০ টাকা। সবশেষে তিনি বলেন মৎস্য খামার করে তার পরিবার ভালো ভাবে জীবন নির্বাহ করতেছে।
পরিশেষে, মৎস্য ও প্রাণিসস্পদ তথ্য দপ্তর ,আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা থেকে সাইফুল হককে মাছ চাষ বিষয়ক বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ করে ,মাছ চাষ ও মাছের যেকোন রোগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারী
(মো. খাদেমুল ইসলাম)
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসস্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকা।